আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেছিঃ দীঘি
দীঘির সাথে আলাপঃ মাত্র পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে ৩৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। অধিকাংশ ছবিই ব্যবসাসফল। এর মধ্যে ৩৪টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ২০০৬ সালে ‘কাবুলিওয়ালা’, ২০১০ এ ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ এবং ২০১২ সালে ‘এক টাকার বউ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন দীঘি। দীঘির পুরো নাম প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। দীঘির সাথে কথা হলো নানা বিষয় নিয়ে-
কী খবর দীঘি, কেমন আছ ?
এইতো ভাইয়া, আপনি কেমন আছেন ?
এই তোমাকে দেখলে তো মনেই হয় না তুমিই সেই ছোট্ট ময়না পাখিটার দীঘি
হি হি হি, মনে না হওয়ার কিছু নেই। আমাকে আপনারা যত বড়ই বানিয়ে দেন না কেন, আমি কিন্তু সবার কাছে সেই ছোট্ট দীঘিই আছি। সবাই আমাকে সেই ছোট্ট দীঘি হিসেবেই মনে রেখেছে। এই তো দেখলেন আপনার সাথে কথা বলতে আসার সময় অপরিচিত কতজন এসে ছবি তুলল। তারা তো আমাকে বড় মনে করে না। ছোট দীঘির কাছেই ছুটে আসে।
আচ্ছা যাক সেসব তোমার পড়াশোনা নিয়ে বলো
হ্যাঁ পড়াশোনা নিয়ে বলা যেতে পারে, স্ট্যামফোর্ড বিদ্যালয়ে এইবার আমি নিউ টেনে উঠেছি। ইংরেজি ভার্সনে পড়ছি। সামনে এসএসসি পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছি। সর্বশেষ স্কুল ফাইনালে ফিজিক্স-কেমিস্ট্রিতে একটু খারাপ হয়েছিল। এবার সে সবে জোর প্রস্তুতি চলছে। রেজাল্ট ভালো করতে হবে। আমি বুয়েটে পড়তে চাই, হতে চাই আর্কিটেক্ট।
বলো কি! ক’দিন আগেই তো বললা ডাক্তার হবা?
হ্যাঁ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেছি। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর্কিটেক্ট হব। এ জন্য সায়েন্সের সাবজেক্টের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি।
বাবা সুব্রত’র সাথে দীঘি
আর্কিটেক্ট শুধু ?
নায়িকা হবা না ?
হ্যাঁ, সেটা তো হবই। হতে চাইলে এখনই হতে পারি। বাসায় এক শ'র ওপর চিত্রনাট্য রয়েছে। আমাকে ছবির অফার দেওয়া হয়েছে আব্বুর মাধ্যমে। আব্বু না করে দিয়েছে, তারপরও ডিরেক্টর, প্রডিউসার আংকেলরা একবার যেন স্ক্রিপ্ট পড়ি এ জন্য রেখে গিয়েছেন। আমি চিত্রনাট্য দেখেছিও কিছু। কিন্তু আমি ডিটারমাইন্ড, ইন্টার পাস করার আগে কোনো কাজ নয়। আমি আমার ফিউচার প্ল্যান করে ফেলছি। সেভাবেই এগোচ্ছি। আমার জন্য এখন সকলের দোয়া প্রয়োজন।
আচ্ছা এবার পরিবার সম্পর্কে কিছু বলো, বাসায়, সংসারে তো অনেক দায়িত্ব তোমার তাই না ?
হি হি হি, আমার কোনো দায়িত্ব নেই। আমি কিচ্ছু রান্নাবান্না করতে পারি না। আব্বু সব রান্নাবান্না করে। আমি রান্না করলে সেটা কেউ খেতে পারে না। এমনকি আমি নিজেও খেতে পারি না। তবে আমি যাই রান্না করি না কেন আব্বু খেয়ে নিতে পারে চুপচাপ।
তোমার সম্পর্কে মাঝে মাঝে নিউজ দেখা যায় দীঘি অভিনয়ে আসছে, দীঘি ওটা করছে-এটা করছে এসব সম্পর্কে বলো-
দেখেন, আমার কোনো ফেসবুক আইডি নেই। ফেসবুক পেইজ নেই, ইনস্টাগ্রাম নেই। এমনকি আমার মোবাইল ফোনও নেই। তাই আমার নামের কোনো আইডি থেকে যদি কিছু আসে সেটা অবশ্যই ফেক। আর এই ফেক বিষয়টাকে কেউ কোট করে যদি নিউজ করে তাহলে আমার বলার তো কিছু নেই। আমি ২০১২ সালের পর স্ক্রিনে আসিনি, আর ইন্টার পাস করার আগে আসব-ও না।
পড়াশোনার বাইরে দীঘি আর কি করে?
হা হা… পড়াশোনার বাইরে দীঘি কিছু করে না। পড়াশোনাই করে আর খায় ঘুমায়। আব্বু বাসার সব কাজ করে। আব্বুকে আপাতত একটু কষ্ট দিচ্ছি আর কি!
কষ্ট দিও না, আপাতত তুমি ভালো থেক আর তোমার আব্বুকেও ভালো রেখ
আপনি বাদ যাবেন কেন, আপনিও ভালো থাকবেন… হি হি হি
সুত্রঃ কালের কন্ঠ/ এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ