আম্পিয়ারিংয়ের ভয় পাচ্ছেন মাশরাফি
এশিয়া কাপের শুরুতে টাইগারদের ঝলক।
পরে পথ হারা পথিক। ফের আলোর দেখা।
সবশেষে উত্তেজনার পারদ উপরে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
তবে ফাইনালে প্রতিপক্ষ সেই ভারত!
পাঠক হয়ত ভাবছেন ভারতের সামনে দাড়ি না দিযে কেন আশ্চার্যবোধক চিহ্ন দিয়েছি?
এটা দিয়ে হতাশা বুঝিয়েছি।
তবে এই হতাশা ভারতের ১১ জনকে নিয়ে নয়। এই হতাশা বাজে আম্পিয়ারিংয়ের।
ফাইনালে যাকে ভয় পাচ্ছেন মাশরাফি!
অবশ্যই আপনাদের মনে আছে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এই ভারতের বিপক্ষেই কলঙ্কিত আম্পায়ারিংয়ে লাল- সবুজের দলের স্বপ্নযাত্রার সমাপ্তি ঘটেছিল।
দুই দলের মধ্যে লড়াই হলে দুইটাই জেতে না।
এটা সবারই জানা কথা। একটি দলই জিতবে।
মাঠের লড়াইয়ে ভারত জিতে গেলে তাতে কারোরই বিন্দুমাত্র কষ্ট থাকবে না।
কিন্তু লড়াইটা যদি মাশরাফিদের সঙ্গে আম্পায়ারদেরও হয়! তাহলে সেটা হবে নিদারুণ বেদনার।
কী হয়েছিলো ওই ম্যাচে?
অনেকেই হয়তো জানেন তারপরেও মনে করিয়ে দিচ্ছি। ১৯ মার্চে, ৩৪তম ওভারে।
সুরেশ রায়নার বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
আশ্চর্যজনকভাবে সেই আউটটি দেননি আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড।
আশ্চর্যজনক কেন? রিপ্লেতে দেখা গিয়েছিলো বল পিচআপ করে মিডল স্ট্যাম্পের ওপরেই ছিলো।
এরপর দ্বিতীয় ঘটনা।
ওই ম্যাচের ৪০তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মা ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিলে তা তালুবন্দি করেন ইমরুল কায়েস।
তখন ৯০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন রোহিত ।
কিন্তু ফিল্ড আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ফুলটস বলটি নো ডেকে দিলেন! থার্ড আম্পায়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও তিনি ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন।
তৃতীয় ঘটনা।
সব হতাশা দূর করে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকানো টাইগার ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আউট নিয়েও টালবাহনা।
আম্পায়ারদের এমন অমার্জনীয় ভুলের প্রতিবাদে সেদিন গ্যালারির সমর্থকেরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে আইসিসিকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
এই তিনটি সিদ্ধান্ত যদি সঠিকভাবে দেয়া হতো তাহলে সন্দেহাতীতভাবেই ওই ম্যাচের ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষেই আসতো একথা বলাই বাহুল্য।
হয়তো দলটি ক্রিকেটের তিন মোড়লের একটি বলেই আম্পায়রা সাহস করেননি কিংবা তাদের অনুকম্পা লাভের আশায় সিদ্ধান্তের পাল্লা তাদের দিকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
আম্পায়ারদের অমার্জনীয় ভুলের প্রতিবাদে সেদিন গ্যালারির সমর্থকেরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে আইসিসিকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ আখ্যা দেন।
সেই ভারতই কিন্তু চলতি এশিয়া কাপের ফাইনালে টাইগারদের মুখোমুখি। আবারও কী তাহলে সেই প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিংয়ের পুনরাবৃত্তি দেখা যাবে না কি ।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আম্পায়ার নাদির শাহ সেই সম্ভাবনা দেখছেন না।
টাইগার ভক্তদের আশ্যস্ত করে নাদির শাহ বলেন, ‘আশা করছি বাজে আম্পায়ারিং হবে না।
এখন আর আগের মতো নেই।
২০১৫ সালে হয়েছে এখন ২০১৮ সাল। মানুষ এখন অনেক সচেতন।
বাংলাদেশিরা সব জায়গায়ই আছে। তবে মাঝে মধ্যে ভুল হয়।
ওইটা চাপে হয়ে গেছে।
এবার হবে না। আম্পায়ারিংয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এজেআর/ ২৮ সেপ্টেম্বর