মঠবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননীকে মারধরের অভিযোগ
মঠবাড়িয়ায় বিয়ে পাগল ও যৌতুকলোভী স্বামী নাসির হোসেন হাওলাদারের (৪২) বেদম প্রহারে স্ত্রী এক সন্তানের জননী ছনিয়া অাক্তার (১৯) গুরুতর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে ওই অাহত গৃহবধু ছনিয়ার পিতা বাচ্চু ঘরামী জানান।
উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে জরিপের চর গ্রামে গত শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নাসির ওই গ্রামের মৃত.অাশ্রাফ অালী হাওলাদারের পূত্র।
হাসপাতাল ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর পূর্বে নাসিরের সাথে রাজপাড়া গ্রামের হতদবিদ্র বাচ্চু ঘরামীর মেয়ে ছনিয়া আক্তারের পারিবারিক সম্মতিতে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক রেজিষ্ট্রিত কাবিন নামায় বিবাহ হয়। বিয়ের সময় হত দারিদ্র বাচ্চু ঘরামী দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়ে তার কন্যা ছনিয়াকে ওই নাসিরের গৃহে তুলিয়া দেয়। কিছু দিন ঘর সংসার করার পরে নাসির স্ত্রীকে বাড়ি রেখে বিদেশে পাড়ি জমান। বিদেশে ছয় মাস থাকার পর দেশে ফিরে অাসলে কিছুদিন পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেয়। এরপর থেকে প্রায়ই সময়ই স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে অমানবিক নির্যাতন, মারধর শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নাসির এযাবৎ ৪ টি বিয়ে করেছের এবং ছনিয়া ছোট স্ত্রী।
ছনিয়া অভিযোগ করেন, যৌতুক না দেয়ার কারনে ৮ বছর আগ তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে সম্প্রতি তার গৃহে তুলে অানেন। ছনিয়া স্বামীকে প্রতিবাদ করতে গেলে কথার কাটাকাটি হয় একপর্যায় যৌতুক লোভী স্বামী নাসির ও তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম সহ পরিবারের সদস্যরা মিলে এলোপতারী মারধর করেন ছনিয়াকে। ছনিয়ার ডাক চিৎকারে শুনে স্থানীয় লোক ছুটে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে ছনিয়ার মা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। ছনিয়ার কোলে থাক ৪ মাসের শিশু কণ্যাকে আটকে রাখে নাসির ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে নাসির হোসেন হাওলাদার একাধিক বিয়ে ও ৪ মাসের শিশু কেড়ে রাখর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছনিয়া সাংসারিক কাজ করতে চায় না বলে আমি দুটো চড় মেরেছি। শিশুকে রেখেছি এজন্য যে, শিশুর মায়ায় সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাবেনা বা দ্রুত বাড়িতে ফিরে আসবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৪ সেপ্টেম্বর