বরগুনা- ২ আসনে রাজনৈতিক প্রচারণা বহরে হামলা
আওয়ামী যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও বরগুনা- ২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সুভাষ হাওলাদারের রাজনৈতিক প্রচারণা বহরে হামলা ও থেকে জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি ইদ্রীস চৌধুরিকে ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সুভাষ হাওলাদের অভিযোগ।
যুবলীগ নেতা সুভাষ হাওলাদার বলেন, ইদ্রীস চৌধুরি পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি। শুক্রবার বিকেলে বামনা লঞ্চঘাট থেকে সংসদীয় আসনে তিনি তাঁর রাজনৈতিক প্রচারণা শুরু করেন। ওই সময় থেকেই ইদ্রীস আমার সাথে ছিল শনিবার দিনভর পাথরঘাটা উপজেলায় আমার প্রচারণা কর্মসূচি চলে। এর অংশ হিসেবে বিকেলে লঞ্চঘাট ব্রীজ এলাকায়
আমাদের মোটরসাইকেল বহর পৌঁছলে ১০ থেকে ১২জনের মত একদল যুবক আকষ্মিক বহরে হামলা চালায় এবং জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ইদ্রীস চৌধুরিকে ধরে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আমি পুলিশকে খবর দেই। পরে জানতে পারি, হামলাকারীরা বর্তমান সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমনের সমর্থক। তাঁতী লীগ নেতা ইদ্রিস গতমাসে চরদুয়ানীর একটি শোকসভায় থেকে ফেরার পথে সাংসদ রিমন তাঁকে মারধর করেছিলেন। ওই ঘটনায় সাংসদের বিরুদ্ধে ইদ্রীস বাদি হয়ে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
এরপর থেকে সাংসদ রিমন ও তাঁর সমর্থকেরা ইদ্রীসের উপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন।
সুভাষ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রচারণা বহর থেকে তাঁতী লীগ নেতাকে এভাবে ছিনিয়ে নেয়াটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণ।
সাংসদ রিমন মুঠোফোনে তাঁর লোকেদের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি ইদ্রীসের কাছে কে বা কারা সাড়ে চার লাখ টাকা পাবে। ওই টাকা আদায়ের জন্যই তাঁকে ডেকে নিয়েছে। মামলায় নিয়ে আমার সাথে কোনো বিরোধ নেই। আদালতের সিদ্ধান্ত আমি সম্মানের সাথে মেনে নিতে বাধ্য।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা খবির উদ্দীন বলেন, সংসদ সদস্য রিমনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলার বাদি ইদ্রীস। মামলাটি বর্তমানে আমার কাছেই তদন্তাধীন। তাকে পুলিশি তত্বাবধানে থানা হেফাযতে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।