জমি দখল করার জন্য বরগুনায় চাচা ও বোনকে পিটিয়ে জখম
বরগুনায় দোকান ও বসতবাড়ীর জমি দখল করার জন্য চাচা ও চাচাত বোনকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে বসত ঘর থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন ভাতিজাদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
মারাত্মক আহত অবস্থায় চাচা ও তার একমাত্র মেয়ে কাজল মালাকারকে বরগুনা থানার পুলিশ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত ভাতিজারা হল বরগুনা পৌরসভার আমতলার পাড় সড়কের শান্তি রঞ্জন মালাকারের ছেলে রবিন্দ্র মালাকার রবি ও শুভ্ররতন মালাকার শুভ্র।
আহত চাচা রাখাল মালাকার জানান, তার কোন ছেলে সন্তান নেই। শহরের আমতলার পাড় সড়কে তার খরিতকৃত ৭ শতাংশ জমি এবং শহরের মিষ্টি পট্রিতে ১৫ ফুট ও ১০ ফুট সরকার কর্র্তৃক ডিসিআর প্রাপ্ত হয়ে তিন যুগের অধিককাল সময়ে তিনি ব্যবসা ও বসবাস করে আসছে। রাখালের আপন ওই দুই ভাতিজা চাচার জমি টুকু গ্রাস করার জন্য শনিবার রাতে প্রথমে চাচার বসত ঘরে হামলা করে চাচাকে বসত ঘর থেকে নামিয়ে দেয়। চাচা তার একমাত্র কন্যা কাজলকে নিয়ে শহরের মিষ্টি পট্রি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে। ওই ভাতিজারা রাতে সেখানে এসে চাচা রাখাল ও চাচাত বোন কাজলকে অমানষিক নির্যাতন করে দোকান থেকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। বরগুনা থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে বাবা মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহত কাজল বলেন, আমার বাবার কোন ছেলে সন্তান নেই। হিন্দু ধর্মে বাবার সম্পত্তি মেয়েরা পায় না। বাবার মৃত্যুর পরে সম্পত্তি বাবার ওই ভাইর ছেলেরা পাবে। কিন্তু আমার চাচাত ভাইয়েরা আমাদের বসত ঘরের পাশেই পাচঁতলা ভবন তৈরী করে। তাদের আরো জমি দরকার। এ কারনে বাবা ও আমাকে পিটিয়ে বসত ভিটা ছাড়া করে। এ ঘটনায় কাজল বাদী আদালতে মামলা করবে।
অভিযুক্ত রবিন্দ্র মালাকার রবি ঘটনা অস্বীকার করেন।
বরগুনা থানার এসআই কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৯ আগস্ট