দেশে এখনও আট দশমিক আট শতাংশ মানুষ কেরোসিন আলোয় নির্ভরশীল
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্য মতে দেশে এখনও আট দশমিক আট শতাংশ মানুষ কেরোসিন আলোয় নির্ভরশীল। যা গত ২০১৬ সালে এ হার ছিলো ১৩ শতাংশ। তবে কেরোসিন নির্ভরশীলতার হার ক্রমান্বয়ে দ্রুততার সাথেই কমছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। যদিও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকার বলেছে ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। সম্প্রতি বিবিএসের মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর হার বাড়ায় দিনদিনই কমছে কেরোসিন তেলের ব্যবহারকারীর হার। যা প্রতি বছরেই ধারাবাহিকভাবে দ্রুততার সাথে কমছে। কেরোসিন ব্যবহারের হার ২০১৩ সালে ছিলো ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০১৪ সালে কমে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ, তবে সবচেয়ে বেশি এ হার ২০১৫ সালে কমে দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ, যেটি ২০১৬ সালে কমে হয়েছে ১৩ শতাংশ এবং বর্তমানে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। বিবিএসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে, দেশে বিদ্যুতের ব্যবহার দ্রুততার সাথে বাড়ছে। ২০২১ সালের মধ্যে যখন সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে তখন কেরোসিন ব্যবহারের হার আরো কমানো সম্ভব হবে।
সবাইকে বিদ্যুতের আওতায় আনতে সরকারের নানমুখী পদক্ষেপে বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের হারও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০১৩ সালে বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার ছিলো ৬৬ দশমিক ৯ শতাংশ, যেটি ২০১৪ সালে বেড়ে হয়েছে ৬৭ দশমিক ৮ শতাংশ, ২০১৫ সালে এ হার হয় ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ, তবে ২০১৬ বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার বেড়ে হয় ৮১ দশমিক ২ শতাংশ এবং সবশেষ ২০১৭ সালে ৮৫ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক একেএম আশরাফুল হক বলেন, বর্তমানে রিপোর্টটি ২০১৭ সালে মোট ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকায় ২ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৫টি খানা বা পরিবার থেকে সংগৃহীত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ি দিনদিন কেরোসিনের আলোয় মানুষের নির্ভরশীতা কমছে। সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ি ২০২১ সালের মধ্যে সবাই বিদ্যুতের আওতায় আসলে এ হার শূণ্যের কোটায় আনা সম্ভব হবে। তাছাড়া বর্তমানে প্রতি বছরই কেরোসিন ব্যবহারের হার কমছে।