প্রতিদিন মাত্র দুটি কলা, তফাতটা দেখুন একমাসেই
লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
অ্যালার্জি:
কলায় থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড নন-অ্যালার্জিক। ফলে, অ্যালার্জির ধাত থাকলে কলা খেতে পারেন।
অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা: কলায় উচ্চমাত্রায় আয়রন রয়েছে। অ্যানিমিয়ার চিকিত্সায় অত্যন্ত জরুরি উপাদান।
ইনস্ট্যান্ট এনার্জি: কলায় সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজের উপস্থিতি ইনস্ট্যান্ট এনার্জির জোগান দেয়। ফলে, শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে কলা খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়েরিয়ায়: কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পেট পরিষ্কার হবে। ডায়েরিয়াতেও কলা বেশ উপকারী।
আমাশায়: বাচ্চাদের পেটে আম হলে, পাকা কলা চটকে খাওয়ালে ভালো কাজ দেয়।
হ্যাংওভার কাটায়: অল্প মধুর সঙ্গে কলার মিল্কশেক বানিয়ে খেলে হ্যাংওভার কাটে। শরীর হয় চাঙ্গা।
ধূমপান ছাড়তে চাইলে: ধূমপান ছাড়তে চাইলে প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যেস করুন। বা, যারা বেশি ধূমপান করেন, তাঁরাও নিয়মিত কলা খেতে পারেন। কারণ, কলায় থাকা পটাশিয়াম, ভিটামিন ও ম্যাগনেশিয়াম নিকোটিনকে শরীরের বাইরে বের করে দেয়।
মেজাজ ঠিক করে: কোনও কারণে মেজাজ তিরিক্ষি? কলা খান। কলায় উপস্থিত ট্রিপটোফান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড সেরোটোনিন তৈরি করে, যা মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
মস্তিষ্ক সতেজ রাখে: উপস্থিত পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখে।
কিডনির সমস্যা থাকলে: কলায় ভরপুর কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। একইসঙ্গে স্বল্প পরিমাণ প্রোটিন। যা কিডনি ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে জরুরি।
ওভার ওয়েটে: সর তোলা দুধের সঙ্গে নিয়মিত কলা খান। অতিরিক্ত ওজন কমবে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়: কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম বডি ফ্লুইড বা দেহরসকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোষের মধ্যে ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স করে। যার জন্য ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
রক্তের জন্য ভালো: কলায় রয়েছে ভিটামিন বি-৬। এটি হিমোগ্লোবিন ও অ্যান্টিবডি তৈরিতে কাজে লাগে।
হাড় মজবুত করে: কলায় থাকা পটাশিয়াম ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমিয়ে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়। হাড়কে করে তোলে শক্তপোক্ত।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম স্নায়ুতন্ত্রকে চাঙ্গা রাখে। স্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, নিয়মিত কলা খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অন্তত ৪০ শতাংশ কমে।
অন্ত্রের অসুখে: অতি সহজে হজম হয়। ফলে, অন্ত্রের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য উপকারী।
আলসারে: অ্যান্টি-অ্যাসিডের কাজ করে। ফলে, আলসারের রোগীদের জন্য ভালো।