অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে জানুন, আপনি কী খাচ্ছেন?

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ১৮ মে ২০১৮

অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে জানুন, আপনি কী খাচ্ছেন?যে দিকেই তাকাবেন কেবল-ই ব্যাকটেরিয়া আর ব্যাকটেরিয়া। যার কারণে শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ বাসা বাঁধে। রোগ যাই হোক না কেনো, নিজেকে তো সুস্থ করে তুলতে হবে। সে জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। তবে আমাদের খাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কিন্তু আমাদের ব্যবহারবিধির ওপর নির্ভর করে। তাহলে তো এই অ্যান্টিবায়োটিকের বিষয়ে জেনে নেওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসক হয়তো অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার আগে শরীর সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্ন করে। তবুও নিজ থেকে চিকিৎসককে কিছু প্রশ্ন করা প্রয়োজন। এবার তাহলে সেই সব বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-

* অনেক অ্যান্টিবায়োটিক অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়া নিষেধ। এতে বিপদ হতে পারে। তাই চিকিৎসককে নিজের শারীরিক অবস্থা জানানো জরুরি।

* অনেক ওষুধের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রিয়া হতে পারে। যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িও অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে। তাই চিকিৎসককে বিষয়টি জানাতে হবে।

* অ্যান্টিবায়োটিকের পুরো কোর্স শেষ হওয়ার আগেই শরীর ভালো লাগতে পারে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। পুরো কোর্সটি শেষ করতে হবে। না হলে জীবাণু পুরোপুরি ধ্বংস নাও হতে পারে।

* চিকিৎসকের কাছে অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জেনে নিতে হবে। কোনো অ্যান্টিবায়োটিকে প্রস্রাবের রং লাল হয়ে যায়, কোনোটাতে আবার পেটে গ্যাস হয়। কোনটা খেলে রুচি কমতে পারে বা বমি পেতে পারে। জানা থাকলে ভালো।

* অন্য কেউ কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে গলাব্যথা সারিয়েছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে কখনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। আবার আগে যে অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে কাশি সেরেছে, সেটি আবার খেলে সেরে যাবে, এমন ধারণা ভুল। আগেরবারের রয়ে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াও ভালো কথা নয়।

* যেকোনো জ্বরের জন্যই অ্যান্টিবায়োটিক নয়। কখনোই চিকিৎসককে অ্যান্টিবায়োটিক লেখার জন্য জোর করবেন না বা অনুরোধ করবেন না। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে মা-বাবারা প্রায়ই এমনটা করেন। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে জ্বর হয়েছে—এমন প্রমাণ হাতে পাওয়ার আগে অ্যান্টিবায়োটিক নয়।

* কোনো কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বেশি করে পানি পান করতে হয়। কোনো কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে কিছু খাবার বা অ্যালকোহল বিক্রিয়া করে। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক আছে, যা কিডনি বা যকৃতের সমস্যায় সেবন করা যায় না। তাই নিজের শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য দিয়ে চিকিৎসককে সাহায্য করতে হবে।

* ওষুধ কত ঘণ্টা পরপর মোট কত দিন খেতে হবে, তা ভালোমতো জেনে নিন। ঠিক সেই সময় ধরেই ওষুধ খেতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে সাধারণত দিনে তিনবার বা চারবারের বদলে আট বা ছয় ঘণ্টা পরপর ওষুধ খেতে বলা হয়। কোনো একটা ডোজ খেতে ভুলে গেলে পরবর্তী ডোজ কিন্তু বেশি খাওয়া যাবে না।

* নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকে অনেকের সংবেদনশীলতা থাকে। একই অ্যান্টিবায়োটিক একজনের জন্য প্রাণ রক্ষাকারী; আরেকজনের জন্য প্রাণসংহারীও হতে পারে। কোনো ওষুধে অ্যালার্জি থাকলে তা অবশ্যই চিকিৎসককে জানাতে হবে। ওষুধ সেবন শুরু করার পর ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। প্রয়োজনে ওষুধ বন্ধও করে দিতে পারেন।

* শিশুদের ওজন অনুসারে অ্যান্টিবায়োটিক মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। একই বয়সী আলাদা ওজনের দুই শিশুর অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স দুই রকম হতে পারে। না বুঝে-শুনে বা ধারণা করে তাই শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দেবেন না। মাত্রা ভালো করে জেনে নিন। পুরোনো মুখ খোলা অ্যান্টিবায়োটিক সিরাপ বা সাসপেনশন আবার ব্যবহার করবেন না। সাসপেনশন তৈরির সঠিক নিয়ম জেনে নিন।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৮ মে

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)