ছাত্রলীগে সিন্ডিকেট নেই যোগ্যরাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে
নিজেদের শতভাগ সফল দাবি করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেছেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সংগঠন পরিচালনা করেছি। দায়িত্বপালনে কোনো বলয় কিংবা চাপ ছিল না।
ছাত্রলীগের সিন্ডিকেট নেই দাবি করে তিনি বলেন, আগামীতেও ছাত্রলীগের সৎ, যোগ্য ও সাহসীরাই নেতৃত্ব দেবে।
বুধবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
দায়িত্ব পালনকালে কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, আমরা কতটুকু সফল বা ব্যর্থ তা নির্ণয় করার দায়িত্ব সারা দেশের ছাত্র সমাজের, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছাত্রলীগ কর্মীদের। আর গণমাধ্যমের বন্ধুদের। তবে আমরা আন্তরিকতার কোনো ত্রুটি রাখিনি। নিজের জন্য কোনো সময় ব্যয় করিনি। সংগঠনের কাজেই সময় ব্যয় করেছি। সফলতা হওয়ার জন্যই কাজ করছি।
আর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বললেন, আমরা শতভাগ সফল দাবি করতেই পারি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেছি। যখন যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা করেছি। আমাদের দায়িত্বপালনকালে যত সফলতা আছে, সেগুলো ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের প্রত্যেক সদস্যের। আর যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে তার দায়ভার আমরা দুই ভাই (সভাপতি-সম্পাদক) নিয়ে নিচ্ছি। তবে এ কথা বলতে পারি, কোনো ত্রুটি রাখিনি দায়িত্বপালনকালে। সবার সহযোগিতা পেয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ বলেন, আসন্ন সম্মেলন ইতিহাসের সেরা সম্মেলন হবে। দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক ছাত্রনেতা অংশ নেবেন। আগামী ১১ মে বিকাল ৩টায় সম্মেলন শুরু হবে। প্রথমে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর শোক প্রস্তাব, সাংগঠনিক রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনামূলক বক্তৃতার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর সংগঠনের অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সম্মেলনস্থলে আসতে চারটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে।
কেমন নেতৃত্ব আসবে ছাত্রলীগে? জবাবে সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ভালো কর্মীর পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র। ক্লিন ইমেজ, দলের প্রতি কমিটেড, যার পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যিনি সংগঠনকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। এ সময় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন বলেন, যাকে দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন হবে, যিনি মেধাবী, পরিশ্রমী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস তাকেই নেতা বানানো হবে।
ছাত্রলীগে শিবির ও অনুপ্রবেশকারীর অভিযোগ রয়েছে-আপনারা কি মনে করেন? এর জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এটা কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা করতে পারেন-কিন্তু ঢালাওভাবে এটা বলা ঠিক না। কারণ আমরা যখন কমিটি করি তখন যাচাই-বাছাই করেই কমিটি করি।
এ সময় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তেজগাঁও কলেজ, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরসহ বেশ কয়েকটি কমিটির উদাহরণ দিয়ে বলেন, মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে বলেই আমরা তাকে নেতা বানিয়েছি। একজন ত্যাগী কর্মীদের প্রতি অন্যায় আমরা মেনে নিতে পারি না। যাচাই-বাছাই করেই কমিটি দেই। কাজেই অভিযোগগুলো সঠিক না।
এ সময় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কাজী এনায়েত, এম আমিনুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।(সূত্রঃ যুগান্তর)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৯ মে