পাথরঘাটা পৌরসভা সংলগ্ন পুকুর যেন ঢাকার বুড়িগঙ্গা।
পাথরঘাটা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় পুকুর বলতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পুকুরটি পরিচিত।
সকাল থেকে বিকাল নয়! গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই পুকুরের ব্যবহার। নামাজের জন্য দৈনিক পাঁচবার শত শত মুসল্লির অজু সহ- কয়েক হাজার মানুষ গোসলের কাজে ব্যবহার করে এই পুকুরকে।
বর্ষাকালে পুকুরের পানি টলমল করলেও চৈত্র সংক্রান্তির পরে পুকুরের পানি অবস্থানে শোচনীয় হয়ে পরে।
কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজ পড়ে মুসল্লিরা যেমন
পায় মনের প্রশান্তি, তেমনি এই পুকুরে গোসলেও শান্তি পায় দেহে।
তবে বর্তমান অবস্থা দেখে শহরের ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের তুলনা করেন বুড়িগঙ্গার সাথে।
অপর এক মুসল্লি জোর গলায় বলে ওঠে পৌরসভার সামনের পুকুরের অবস্থা যদি এমন হয়, তাহলে মেয়র-কমিশনার দিয়ে কি কাজ?
হঠাৎ এমন একজনের মন্তব্যে টনক লরার মত অবস্থা। আশপাশের লোকজনের থেকে আরও কয়েকজন মুসল্লি বলে উঠল মেয়র সাহেব যদি একটু চুনা ও ফিটকিরি পুকুরের পানিতে দেয়ার ব্যবস্থা করতেন তাহলে পানিতে ভাসমান ময়লা-আবর্জনা দুরে ঠেলে পানিতে অজু-গোসল করতে পারতাম।
হাফেজ মাওলানা গোলাম কিবরিয়া বলেন, এখন পানি মুখে নিতে হয় ইচ্ছের বিরুদ্ধে। এমনকি গোসলের পর সারা শরীরে চুলকানি উঠে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মুসল্লি বলেন, পৌরসভা অফিসের সামনে একটি দৃষ্টিনন্দন পুকুরের পানির ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার মতো অবস্থা হতে যাচ্ছে কিন্তু এর পাশ দিয়ে সারাক্ষণ উপজেলার সকল কর্মকর্তাগণ মেম্বার চেয়ারম্যান যাতায়াত করেন কিন্তু কারো নজরে আসে না। তাদের কাজ শুধু খাই খাই।
উল্লেখ্যঃ পানি কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত লোকের ব্যবহারের কারণে এই পুকুরের পানিতে দানা দানা পরে গেছে। এছাড়াও চতুর্দিক থেকে ময়লা আবর্জনা পরে পুকুরটির অবস্থা যাতা হয়ে গেছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।