শবে বরাতের সমর্থনে ২২ সহিহ হাদীস

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

শবেবরাত
শবে বরাত সমর্থনে ২২ টি সহিহ আছে, যারা অস্বীকার করে তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন তারপরও কি মেনে নিবেন না??? কোনো মুসসলমান কি সহিহ হাদিস অস্বীকার করতে পারে??? না কখনোও না।
________________________________

(১) উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা
রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা
করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেন, তুমি কি এ রাত তথা শাবানের ১৫তম রজনী সম্পর্কে কিছু জান? তিনি আরজ করলেন এ রাতে কি রয়েছে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, এ রাতে যে সকল বনী আদম জন্মগ্রহন করবে তাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে আর যে সকল বনী আদম মৃত্যুবরন করবে তাদের নামও লিপিবদ্ধ করা হবে। এ রাতে তদের পুরো বছরের আমলসমূহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে পেশ করা হবে আর এ রাতে তাদের রিজিক/জিবিকা নির্ধারণ করা হবে। অতপর তিনি আরজ করলেন, নিশ্চই
আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কেও জান্নাতে প্রবেশ
করতে পারবেনা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চই আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত কেও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা তিনি এ বাক্য তিনবার বলেন। অতপর তিনি আরজ করলেন, আপনিও হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হাত মুবারক মাথা মুবারকের উপর রেখে ইরশাদ করেন, নিশ্চই আমি আল্লাহর রহমতের মাধ্যমে জান্নাতে প্রবেশ করব। এ বাক্য তিনি তিনবার ইরশাদ করেন।
বায়হাক্বী শরীফ-দাওয়াতে কবীর হাদীস নং-৫৩০;
মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ হাদীস নং-১৩০৫

(২) উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা
রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেনন,
একরাতে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়াসাল্লামকে ঘরে পেলামনা বা তাঁর খোঁজে বের
হলাম। তখন দেখলাম তিনি জান্নাতুল বাক্বী
কবরস্থানে আসমানেকে মাথা মুবারক উত্তোলন
করে অবস্থান করছেন। আমাকে সেখানে দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন- হে আয়েশা! তুমি কি এ ভয় করছ যে, আল্লাহ তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তোমার প্রতি অবিচার করবে? তিনি আরজ করলেন আপনি বলছেন, এমন কিছু আসলে আমার মনে নেই বরং; আমি
ধারণা করেছি যে, আপনি আপনার কোন স্ত্রীর
হুজরায় তাশরীফ নিয়েছেন। তখন নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা শা’বানের পনেরতম রাতে প্রথম আসমানে তাশরীফ আনেন। অতঃপর বনী ক্বলব এর মেষগুলোর লোম এর সংখ্যার চেয়েও অধিক
বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
ইবনে মাজা শরীফ,হাদীস নং-১৩৮৯;
জামে আত তিরমিযি-৭৩৯;
মুসনাদে আ’ব্দ বিন হুমায়দ-১৫০৯;
মুসান্নাফে আবী শায়বাহ-২৯৮৫৮;
মুসনাদে আহমদ-২৬০১৮,২৬০৬০;
বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৮;
শো’আবুল ঈমান-৩৫৪৩,৩৫৪৪,৩৫৪৫;
আন নুযুল দারে ক্বুতনী-৯০;
বগভী শরহুস সুন্নাহ-৯৯২;
সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরদুখান-৭:৪০২;
তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান ১৮:৪২৩/১৩:১১০;
তাফসীরে কাশশাফ, সুরা দুখান, ৪:২৭০; তাফসীরে কবীর, সুরা দুখান ২৭:৬৫৩

(৩) হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রাদ্বিল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন শাবানের পনেরতম রাত হয়, তখন তোমরা রাতে নামাজ পড় এবং রোজা রাখ। কেননা ঐ দিন সূর্যাস্তের সময় আল্লাহ
তা’আলা প্রথম আসমানে তাশরীফ এনে বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন- ক্ষমা প্রার্থনাকারী কেও আছ, আমি তাকে ক্ষমা করব, রিজিক আন্বেষণকারী কেও আছ, আমি তাকে রিজিক দিব, আসুস্থ কেও আছ আমি তাকে সুস্থতা দান করব, এভাবে অন্যান্য
বিষয়েও বলতে থাকেন ফজর পর্যন্ত।
ইবনে মাজাহ ,হাদীস নং-১৩৮৮;
ফাকেহী আখবারে মক্কা-১৮৩৭,৩:৮৪;
বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৪;
শো’আবুল ঈমান-৩৫৪২;
মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ, হাদীস নং-১৩০৮; কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৭;
তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান,
১৮:৪২৪/১৩:১১০;
তাফসীরে ক্বুরতুবী, সুরা দুখান ১৬:১২৭

(৪) হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি
ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন- আল্লাহ তায়ালা
শাবানের পনেরতম রাতে স্বীয় সৃষ্টির প্রতি
রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং মুশরিক, হিংসুক ব্যতীরেকে সবাইকে ক্ষমা করেছেন।
তাবরানী মু’জামুল আউসাত হাদীস নং-৬৭৭৬;
মু’জামুল কবীর-২০:১০৮,২১৫,
মুসনাদে শামেয়ীন-২০৩,২০৫,৩৫৭০;
ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১২;
সহীহ ইবনে হিব্বান- ৫৬৬৫;
বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২২;
শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫২, ৬২০৪;
দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৭;
হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬০;
আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত
তাহরিব-১০২৬,২৭৬৭;
সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩,
কানযুল উম্মাল-৩৫১৮০

(৫) হযরত আবু মুসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বরনিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন- নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা শাবানের পনেরতম রাতে সৃষ্টির প্রতি কৃপা দৃষ্টি দেন এবং সকলকে ক্ষমা করেন, মুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীরেকে।
ইবনে মাজা শরীফ হাদীস নং-১৩৯০;
ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১০;
বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৯;
দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৯৪;
কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৫;
আলবানী সহীহুল জামে-১৮১৯
হাদীসটি হাসান/ সহীহ লিগাইরিহি

(৬) হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন পনেরই
শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা প্রথম
আসমানে তশরীফ আনেন এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত।
মুসনাদে বাযযার ১:২০৬, হাদীস নং-৮০;
ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫০৯;
দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৫,৭৬;
ইবনে খুযাইমাহ আত তাওহীদ-৪৮;
আলী মুরুযী মুসনাদে আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-১০৪;
আবু নুয়াইম তারিখে ইস্পাহান-২:২;
হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৫৭;
সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)