গলাচিপায় জাল সনদে চাকরি করছেন শিক্ষক!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১১:১৮ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৮

ভূয়া সনদগলাচিপা উপজেলার চর কাজল মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের সহকারী শিক্ষক সাব্বির আহমেদ নোবেল ২০১৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এমপিওভূক্তির নিমিত্তে আবেদন করে এমপিওভূক্তি হয়ে জাল সনদে চাকুরি করে আসছিলেন।

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ওই শিক্ষক নিয়োগের একদিন আগে সাক্ষাতকার বোর্ডে দারূল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনএস সেন্টার, (১৩ তম) ফ্লোর, প্লট #৮৭, ঢাকা, ময়মনসিংহ রোড, সেক্টর#৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ শাখা থেকে অর্জিত স্নাতক (সম্মান) সনদটি দাখিল করেছেন, যার সিরিয়াল নং-১৫০৬।

তৎকালীন স্মারক নং-চকামাবি-১০৩, তারিখ-০৮-০৯-১৩ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত মো.ফখরউদ্দিন সাব্বির আহম্মেদ নোবেলের এমপিওভূক্তির নিমিত্তে জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে আবেদন করেন।

আবেদনে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল। ওই আবেদনে দাখিলকৃত কাগজপত্রের প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের স্মারক নং-জেপিঅ/পটু/১০৬৬, তারিখ ২৯-০৯-১৩ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা বরাবর সাব্বির আহম্মেদ নোবেল এর নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রেরণ করেন। সেক্ষেত্রেও দেখা যায়, দারুল ইহসানের উত্তরা বিএনএস শাখা থেকে অর্জিত মার্কশীটসহ সনদ যার সিরিয়াল নং ১৫০৬।

সাব্বির আহম্মেদ ১৩ অক্টোবর ২০১৩ দৈনিক সমকাল পত্রিকার এক বিজ্ঞপ্তি মারফত ২৬ অক্টোবর ২০১৩ইং হাজী কে আলী কলেজের অধ্যক্ষ্য বরাবর একখানা আবেদন করেন। সেক্ষেত্রেও দারুল ইহসানের উত্তরার বিএনএস শাখা থেকে অর্জিত সনদটি (যার সিরিয়াল নং -১৫০৬) দাখিল করেছেন। মাউশি’র স্মারক নং ও এম-৮২-ম/২০১৩/১৯৯/৪; তারিখ ২১-০১-২০১৪ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক সাব্বির আহম্মেদ নোবেল এর এমপিওভূক্তির একখানা নামঞ্জুরপত্র প্রধান শিক্ষকের নিকট প্রেরণ করেন। উক্ত পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত শাখা থেকে স্নাতক (সম্মান) সনদ অর্জন না করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

এ ব্যাপারে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. ফখরউদ্দিনের নিকট প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সাব্বির আহম্মেদ নিয়োগ ও এমপিওভূক্তির ক্ষেত্রে দারুল ইহসানের উত্তরা বিএনএস সেন্টারের শাখা থেকে অর্জিত সনদটি দাখিল করেছেন।

বর্তমান প্রধান শিক্ষক মো. জামাল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাব্বির আহম্মেদ নোবেলের নিয়োগটি আমি প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন হয়নি। শিক্ষক সাব্বির আহমেদ নোবেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১০ এপ্রিল

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)