শাকিব খান অফিসিয়াল’ ইউটিউব শুরুটা অপুকে সঙ্গে নিয়েই
অনলাইন ডেস্ক শাকিব খান আর অপু বিশ্বাস শুধু স্বামী-স্ত্রীই ছিলেন না। কিংবা তারা শুধু আব্রাম খান জয়ের মা-বাবাই নন। টানা ১০ বছরের বেশি সময় জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে। অসংখ্য চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। সুতরাং পিছু ছাড়তে চাইলেও সম্ভব নয়।
সম্ভব যে নয়, তা আরেকবার প্রমাণ হলো ‘শাকিব খান অফিসিয়াল’ নামের ইউটিউব চ্যানেল আত্মপ্রকাশ করার পর। গত বুধবার (২৮ মার্চ) চ্যানেলটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। শাকিব খান তার জন্মদিনে এই চ্যানেলের ঘোষণা দেন।
শাকিব খান ইউটিউব চ্যানেলের শুরুটা করলেন অপু বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়েই। এর প্রমাণ পাওয়া যাবে ‘শাকিব খান অফিসিয়াল’ নামের চ্যানেলটিতে উঁকি মারলেই। চ্যানেল ঘুরে দেখা গেছে, এ প্রতিবেদন লেখা সময় পর্যন্ত মোট দশটি ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করা হয়েছে তাতে। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি কনটেন্টেই রয়েছেন অপু বিশ্বাস। এমনকি চ্যানেলে টপ আইটেমেই রয়েছে শাকিব-অপু জুটির ‘লাভ ম্যারেজ’ চলচ্চিত্রের একটি গান।
ইউটিউব চ্যানেল এখন বিনোদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। শাকিব খানের মতো সুপারস্টার যখন নিজের নামে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন, তখন তার গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। এই মহাগুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলে কনটেন্ট আপলোড করতে গিয়ে অপুর বিকল্প বোধহয় খুঁজে পাননি শাকিব। সদ্য সাবেক হওয়া স্ত্রীর সঙ্গে পর্দায় অংশ নেওয়া গানগুলোই তাই বেছে নিয়েছেন।
শুরুতেই অভিযোগ : ‘শাকিব খান অফিসিয়াল’ ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে শুরুতেই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট গানগুলোর গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পীরা। তাদের অভিযোগ, চ্যানেলটিতে শাকিব খান শুধু তার নিজের নাম ও সহশিল্পীর নাম ব্যবহার করেছেন। এখানে গানগুলোর গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী কারা তা বোঝার উপায় নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিউজিক ডিরেক্টর বলেন, ‘শাকিব খান এখন ভারতীয় ছবিতেও অভিনয় করছেন। তার কাছে আরেকটু সৌজন্যতা আশা করেছিলাম। তিনি ভারতীয় ইউটিউব চ্যানেলগুলো দেখে থাকলে বুঝতেন ওখানে প্রাপ্য ক্রেডিট থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হয় না, যা শাকিব খান করেছেন।’
একই কথা শোনালেন এক গীতিকার। তিনি বলেন, ‘এটা এক ধরনের মূর্খতা। শাকিব খান কিংবা যারা এই চ্যানেলের জন্য কাজ করছেন, তারা হয়তো বোঝেনই না যে কাকে কীভাবে ক্রেডিট দিতে হয়। এখানে কনটেন্টগুলোতে গীতিকার, সুরকার কিংবা কণ্ঠশিল্পীদের নাম লেখা হলে তো তাদের পয়সা খরচ হতো না। মানসম্মানও নষ্ট হতো না। বরং কনটেন্টগুলো আরো সমৃদ্ধ হতো। তবু ক্রেডিটগুলো দেয়নি? এটাকে মূর্খতা ছাড়া আর কী বলব?’
চ্যানেলে আপলোড করা কনটেন্টগুলো দেখলে যেকেউ বুঝবেন দায়সারাভাবে সেগুলো আপলোড করা হয়েছে। শুধু টাইটেল দিয়েই কাজ শেষ। এসব ব্যাপারে জানার জন্য শাকিব খানের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি
এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ