পাথরঘাটায় ত্রিশ লক্ষ টাকার বিয়ে ভেঙে গেল পরকীয়ায়
বরগুনার পাথরঘাটায় প্রবাসী ছেলে ধুমধাম করে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বিয়ে করেছিল। ৬ মাস সংসার করার পর অবশেষে মেয়েটির পরকীয়া প্রেমের কারনে তাদের বিয়ে ভেঙে গেল। আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর ইউনিয়নের হাড়িটানা গ্রামের সিমলাতলা স্কুলের রাস্তার পাশে অসামাজি কর্মকান্ডের প্রস্তুতির সময় প্রেমিকযুগলকে ধরে গ্রামবাসীরা পাথরঘাটা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ছেলে এবং মেয়ে তারা এখন পাথরঘাটা থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
পাথরঘাটা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান জানান, তার ওয়ার্ডের সগীর হোসেনের ছেলে তারেক দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকতেন। ছগির তার ছেলেকে পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের জুবায়েদ উর রহমান সাগরের মেয়ে সাইয়্যেদা জুবায়ের বর্না কে বিবাহ করান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে। বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে দেনমোহর শাড়ি-চুড়ি স্বর্ণের গহনা এবং মেহমানদারী অনুষ্ঠানে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। বিবাহের অনুষ্ঠানে এলাকার হাজারখানেক মেহমান দাওয়াত করা হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পরপরই বিভিন্ন ছেলের সাথে বর্নার সক্ষতার বিষয়টি টের স্বামী তারেক। বর্নার পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে অন্তরঙ্গ বেশ কয়েকটি ছবি ও ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আলাপের কয়েকটি স্ক্রিনশটও বের হয়েছে। এ নিয়ে সংসারে দীর্ঘদিন পর্যন্ত অশান্তি চলছে।
সবদিক বিবেচনা করে স্ত্রীকে বুঝিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পাড়ায় সম্প্রতি একতরফা ভাবে তালাক প্রদান করেছে তারেক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারেকের বাবা ছগির হোসান।
এদিকে তালাকের কপি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মেয়ে পক্ষের কাছে পৌঁছানোর কয়েক দিনের মাথায় পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের শামীম আহম্মেদ নামের এক যুবকের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপের প্রস্তুতির সময় হাড়িটানা সিকদার বাড়ি এলাকার স্থানীয়রা আটক করে।
পাথরঘাটা থানার ওসি তদন্ত সাঈদ আহমেদ জানান, আটক প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধেপাথরঘাটা থানায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তাই আমরা বিষয়টা নিয়া তিন পক্ষের মধ্যে মীমাংসার চেষ্টা করছি।
এ বিষয় বর্ণা জানান, আমি আমার মামাতো ভাইয়ের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ষড়যন্ত্র আমার শশুর বাড়ীর আত্মীয়-স্বজন এলাকাবাসীদের দিয়ে আমাদের ধরে থানায় সোপর্দ করেছে। আমি নির্দোষ।