পাথরঘাটায় সড়ক ও জনপদের ৫২ কোটি টাকার সড়ক হাতের ছোয়ায় উঠে গেল
বরগুনার পাথরঘাটা-ঢাকা মহা সড়কের কাকচিড়া অংশে ৫২ কোটি টাকার সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়ম করায় নির্মাণের তিন দিনের মধ্যেই হাতের ঠেলায় উঠে যাচ্ছে
রাস্তার কার্পেটিং। সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা স্বীকার করেছেন পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির। এর আগে গত ফেব্রুরির ১০ তারিখ একই প্রকল্পের মঠবাড়িয়া অংশের সড়ক নির্মাণে অনিয়মের কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বরগুনা-২ এমপি শওকত হাসানুর রহমান রিমন।
সংশি¬ষ্ট সূত্র মতে, বরগুনা সড়ক ও জনপদ বিভাগের আধীনে উপজেলার কাকচিড়া বাজার থেকে পাথরঘাটা নতুন বাজার ব্রীজ পর্যন্ত ২৪.৫৮ কি.মি সড়কের ৪ কি.মি
মুল সড়ক থেকে তিন ফিট করে সম্প্রসারণ ও বাকি ২০.৫৮ কিলোমিটার সড়ক পুনঃ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ কোটি ৩ লাখ টাকা। এ কাজ বরিশালের রিয়েলেবল
কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কন্ট্রাক্ট নিয়ে কাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবিরের সামনেই হাত দিয়ে ঠেলে সড়কের কার্পেটিং উঠিয়ে দেখাচ্ছে। তখন স্থানীয় জামাল, খলিলুর রহমান, বাবুল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, প্রইমকোড না দিয়ে লোকাল বালু ও কাদামাটির উপর কার্পেটিং করার কারণেই রাস্তা হাতের ঠেলায় উঠে যাচ্ছে।
প্রকল্পের কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা
গোলাম কবিরকে ম্যানেজ করতে না পারায় তিনি এসব বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রধান ম্যানেজার মোহাম্মদ জমির সাজ্জাদ হোসেনের মুঠোফেনে (০১৭৫৫৫৫৮০৫৩) যোগাযোগ
করার চেস্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ম্যানেজ করার ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়ক নির্মাণ কাজের প্রথম থেকেই আমি তাদের অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন মহলে
অভিযোগ করেছি। তিনি আরো বলেন আমি এ নিয়ে সড়ক ও জনপদের উর্ধতন বিভিন্ন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এর পরক্ষণে আবারো উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল
ইসলামকে বিষয়টি জানালে তিনি ম্যানেজ করার বিষয়টি উড়ো কথা বলে প্রতিবেদককে জানান।