হেলিকপ্টর হুজুর খ্যাত জৈনপুরী পীরের বিরুদ্ধে রেলওয়ের জমি দখলের মামলা

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ০৯:২৮ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৯

এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওরফে জৈনপুরী পীর। ছবি: সংগৃহীত
হেলিকপ্টার হুজুর হিসাবে খ্যাত এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওরফে জৈনপুরী পীরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি দখলের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় এস্টেট অফিসের কানুনগো মো. ইকবাল মাহমুদ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় এস্টেট অফিসের কানুনগো মো. ইকবাল মাহমুদের দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকার মৃত নাছির উল্লাহ আব্বাসীর ছেলে অভিযুক্ত এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী (জৈনপুরী পীর), ওবায়েদ উল্লাহ আব্বাসী ও নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসী অবৈধ ও বেআইনিভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হাজিগঞ্জ লেভেল ক্রসিং সংলগ্ন রেললাইনের পূর্ব পার্শ্বে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে মাটি ভরাট করে সেমিপাকা কাঠামো নির্মাণ করছেন। তাদের এই অবৈধভাবে কাঠামো নির্মাণ কাজে স্থানীয়ভাবে বাধা প্রদান করা হলেও তারা বাধা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এক বছর পূর্বে তারা রেলওয়ের ভূমিতে অবৈধভাবে টিনশেড মার্কেট নির্মাণ করেছেন। সরকারি রেলওয়ে সম্পত্তি দখল ও আত্মসাতের অপরাধে দণ্ডবিধি অনুযায়ী ফৌজদারি মামলা দায়ের করার অনুরোধ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ভণ্ড পীর এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওরফে জৈনপুরী পীর ও তার ভাইদের অত্যাচারে পাঠানটুলীসহ আশেপাশের এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তারা অবৈধভাবে রেলওয়ের জমি বালি ভরাট করার ফলে পূর্ব পাঠানটুলী ও পানিরকল এলাকা অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। সামান্য বৃষ্টিপাত হলে এলাকার অনেকের বসতঘর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যায়।

এছাড়াও জৈনপুরী পীর রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে প্রতি মাসে মোটা অংকের ভাড়া আদায় করছে। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলাতে এনায়েত উল্লাহর তৈরি করা লাঠিয়াল বাহিনীর হাতে এলাকার অনেকেই নাজেহাল হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মীর শাহিন শাহ পারভেজ জানান, এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী ওরফে জৈনপুরী পীরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে

 সুত্রঃ ইত্তেফাক

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)