ঢাকা-বরিশাল সহ দেশের অন্যান্য নৌ রুটে বাড়ছে লঞ্চ সার্ভিস
বিশেষ প্রতিবেদন।। বরিশাল ঢাকা নৌ-রুটে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবারসহ সকল সরকারি ছুটির দিনে আগে থেকে চালু থাকা ৬টির পরিবর্তে সাতটি করে লঞ্চ এবং উৎসবকালীন দিনগুলোতে পর্যাপ্ত লঞ্চ চলাচল করবে। এতে করে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে আসবে।
একইভাবে ঢাকা-হুলারহাট-ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর), ঢাকা-পটুয়াখালী এবং ঢাকা-ভোলা রুটে লঞ্চ চলাচল পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।
মঙ্গলবার (০৬ মার্চ) নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌ-পথে রোটেশনে চলাচলকারী লঞ্চসমূহের রোটেশন বাতিল সংক্রান্ত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদ, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শহীদুজ্জামান, বরিশালের জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসাক (রাজস্ব) এসএম সোহরাব হোসেইন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. শহীদ ভূইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ঢাকা নদীবন্দর থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি নৌ-পথে ২০২টি লঞ্চ চলাচলের জন্য রুট পারমিট দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। রুট পারমিট ও সময়সূচি অনুযায়ী লঞ্চ চলাচল করে না। ফলে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি হয়। বিশেষ করে ঢাকা-পটুয়াখালী, ঢাকা-ভোলা, ঢাকা-হুলারহাট-ভান্ডারিয়া নৌ-পথে সময়সূচি অনুযায়ী লঞ্চ পরিচালিত হয় না।
মন্ত্রী মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যাত্রীদের সেবা দিতে লঞ্চ মালিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, লঞ্চ মালিকদের সহযোগিতায় ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে লিফট ও ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) ব্যবস্থা আছে। এতে করে বয়স্ক যাত্রী ও রোগীদের সুবিধা হয়েছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে ১৭টি, ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে চারটি, ঢাকা-ভোলা রুটে চারটি এবং ঢাকা-হুলারহাট-ভান্ডারিয়া নৌ-পথে ছয়টি লঞ্চ চলাচলে রুট পারমিট দেয়া আছে।”
এন এ এস / পাথরঘাটা নিউজ