কাঁচা কলার যত গুন!
শুধু পেট খারাপের মত রোগের প্রকোপ কমাতে নয়, কিছু জটিল রোগের চিকিৎসাতেও কাঁচা কলার কোনও বিকল্প নেই। কারণ এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ভিটামিন সিসহ নানা উপকারী উপাদান।
জেনে নেওয়া যাক নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে কি ধরণের উপকার পাওয়া যায়…
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত একটি করে কাঁচা কলা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের মাত্রা যেমন কমে যায়, তেমনি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:
খাবারে উপস্থিত পুষ্টিকর উপাদানগুলি যাতে ঠিক মতো শরীরের কাজে লাগতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে কাঁচা কলায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান। ফলে নিয়মিত এই ফলটি খেলে অনায়াসেই পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। আর এমনটা হওয়া মাত্র শরীরের কর্মক্ষমতা যে বৃদ্ধি পায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমায়:
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং বাওয়েল মুভমেন্টের উন্নতি ঘটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই শুধু পেট খারাপ নয়, যারা প্রায়শই গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা কাঁচা কলাকে কাজে লাগাতে পারেন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এই ফলটি। তাই তো ডায়াবেটিক এর রোগীরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ:
গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা কলায় উপস্থিত পটাশিয়াম, শরীরে প্রবেশ করার পর ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শিরা-উপশিরার ভেতরে তৈরি হওয়া প্রেসারকেও কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না।
ওজন নিয়ন্ত্রণ:
কাঁচা কলায় উপস্থিত রেজিস্টেন্স স্টার্চ হজম হতে সময় নেয়। ফলে বহুক্ষণ ক্ষুধা পায় না। আর ক্ষুধা না পেলে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমতে শুরু করে। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রবেশ ঘটে কম। আর এমনটা দীর্ঘ দিন ধরে যখন হতে থাকে, তখন ওজন কমতে সময় লাগে না।
পটাশিয়ামের চাহিদা মেটে:
এক কাপ কাঁচা কলায় প্রায় ৫৩১ এম জি পটাসিয়াম থাকে, যা পেশির গঠনে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি নার্ভ এবং কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
শরীরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়:
বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে ইন্টেস্টাইনে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে পেটের রোগও দূরে পালায়।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২০ ফেব্রুয়ারি