বে আমলী আলেম “ঈমানকে” হরণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে -ছারছীনার পীর
মোঃ আবদুর রহমান : আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের হযরত পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা. জি. আ.) বলেছেন- আমরা মুসলমান।
বছরের যে কোন সময় আমরা কোন না কোন মাহফিলে যাই। এই ওয়াজ মাহফিলে আসার উদ্দেশ্য হলো দুনিয়ার কোন উদ্দেশ্য নয়। একমাত্র আল্লাহকে পাওয়ার এবং আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য।
শুধু তাই নয় এখানে এসে একজন সাধারণ মানুষ ওয়াজ শুনে তদানুযায়ী আমল করে আল্লাহওয়ালা হয়ে আল্লাহর খাস ওলীতে পরিণত হওয়া।
পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেন- বর্তমান জমানা ফেতনার জমানা। এই জমানায় আলেম নামে একদল লোক মানুষের ঈমানকে হরণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে। তারা সুন্নাতকে খাটো করার এক অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
সুদ-ঘুষ হারাম অথচ এর কোন পরোয়া করছে না। তারাবীহ নামাজ ২০ রাকাআতকে আট রাকায়াত, ফরজ নামাজ বাদ মুনাজাত , জানাজার নামাজের পর মুনাজাত, মিলাদ-ক্বিয়াম ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করছে। তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। হক্কানী আলেমদের অনুসরণ করবেন। যেহেতু হক্কানী আলেমগণ হলেন নবীর ওয়ারিশ তথা উত্তরাধীকারি।
আজ শুক্রবার জুমআর নামাজবাদ আখেরী মোনাজাত পরিচালনার পূর্ব মুহূর্তের বক্তৃতায় তিনি উল্লেখিত বক্তব্য রাখেন। বরগুনার আমতলীর আমড়াগাছিয়া খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্সের তিনদিনব্যাপী মাহফিলের সমাপনী বক্তব্যে দেশ ও মুসলিম উম্মাহার জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
হাজার-হাজার মুসুল্লীদের উপস্থিতিতে মাহফিলের শেষদিনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আরহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মির্জা নূরুর রহমান বেগ,
পীর ছাহেব কেবলার ছোট সাহেবজাদা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলওয়ার হোসেন, পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান,
ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মজিবুর রহমান, নেছারাবাদ পৌরসভার মেয়র জিএম ফারুক, আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিন মিলনসহ আমতলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।