আবারো মাঠে শোয়েব আখতার খেলছেন — পিএসএল !
১৬ বছর অতিক্রান্ত হলো। আজও কেউ তার বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে পারলেন না। সালটা ২০০৩, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। পিচে আগুনের গোলা নিক্ষেপ করেন শোয়েব আখতার। ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার বেগে বল করেন তিনি।
ফের ক্রিকেটে ফিরছেন শোয়েব। সঙ্গে হুঙ্কার ছুড়লেন ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’। সাফ জানিয়ে রাখলেন, গতি কাকে বলে আবার বুঝিয়ে দেবেন তিনি। তবে কখন-কোথায়-কীভাবে ফিরছেন পাকিস্তানি স্পিডস্টার তা খোলসা করেননি। ক্রিকেটবিশ্বকে রেখে দিয়েছেন ধোঁয়াশায়।
টুইটবার্তায় আখতার লিখেছেন, এই যে বন্ধুরা, বর্ষপুঞ্জিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি চিন্তিত করে রাখ। আমি আসছি লিগ খেলতে। বাচ্চাদেরও তো জানা উচিত গতি কাকে বলে!
এ টুইট দেখে উচ্ছ্বসিত সাবেক সতীর্থ ও কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। সুইং অব সুলতান টুইট করে শোয়েবকে জিজ্ঞাসা করেছেন, খবরটা কী সত্যি? তুমি ফিরছ? ফিরলে অবশ্য এখনকার বাচ্চারা তোমার তেজ টের পেত!
টুইট করেছেন আরেক সাবেক সতীর্থ শোয়েব মালিক। এখনও খেলে যাওয়া এ পাক অলরাউন্ডার লিখেছেন, শোয়েব ভাইয়ের সময় এসেছে। আসুন, আমাদের দেখান আপনার তেজদীপ্ত বোলিংয়ের প্রদর্শনী। আমাদের কিংবদন্তি ফিরছেন! আগুন ঝরানো বোলিং দেখতে তর সইছে না!
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। আখতার পরিষ্কার না করলেও ভক্তরা মনে করছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এ টুর্নামেন্টেই কোনও দলের হয়ে খেলতে পারেন তিনি।
২০১১ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ৪৩ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার। এখন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় মাঝে মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় তাকে। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার হিসেবে স্বীকৃত তিনি।
তরতর করে শরীর বেয়ে পড়ত ঘাম। সীমানা থেকে দৌড় দিতেন ব্যাঘ্রগতিতে। বল হাতে তুলতেন গতির ঝড়। তার সময়ের বাঘা ব্যাটসম্যানরাও ভয়ে-আতঙ্কে ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে যেতেন। কেউ আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছাড়তেন। সঙ্গে ছিল সর্পিল সুইং, গতিময় বাউন্স-ইয়র্কার, স্লো ডেলিভেরি। ব্যাটাররা কুপোকাত না হয়ে পারেন? এসব কিছুর জন্য ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন শোয়েব। রেকর্ড বুকে তার নাম জ্বলজ্বল করে জ্বলবেই।
এস এ এ/পি এন/১৪০২২০১৯/