যে গ্রামের বাসিন্দাদের জামা-কাপড় পরা নিষেধ
ব্রিটেনের একটি গ্রাম পৃথিবীতে অনন্য। এ গ্রামে বহুদিন ধরে এমন একটি রীতি প্রচলিত, যা দুনিয়ার অন্য কোথাও নেই।
এ গ্রামের বাসিন্দাদের প্রায় সবাই সচ্ছল। গ্রামবাসী বেশ শৌখিনও। চোখে দামি সানগ্লাস, গলায় সোনার চেইন, আঙুলে আংটি, বড় পানশালা, শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক— কী নেই এ গ্রামে!
যে কেউ দেখলে বলবেন এর চেয়ে আদর্শ গ্রাম হতে পারে? জীবনমানও উন্নত। সবার মধ্যে সম্প্রীতিও বিদ্যমান।
গ্রামটিতে সব কিছু থেকেও নেই একটি জিনিস। সেটি হচ্ছে— লজ্জা। কারণ লজ্জার ভূষণ জামাকাপড় পরা নিষেধ এ গ্রামে। এখানে যারা বাস করেন, কারেও পরনে পোশাক থাকে না।
গ্রামটির নাম স্পিলপ্লাজ। ব্রিটেনের হার্টফোর্ডশায়ারে এটি অবস্থিত। এই গ্রামের বাসিন্দারা জাতে ব্রিটিশ।
স্পিলপ্লাজ গ্রামের বাসিন্দারা এ গ্রামটিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরনো নগ্নতাবাদী অঞ্চল বলে দাবি করেন। বাসিন্দাদের এই নগ্নতাবাদকে সমর্থন না করতে পারলে, এখানে এক চিলতেও জমি জায়গা কেনা যাবে না।
তবে স্পিলপ্লাজের বাসিন্দাদের নগ্নতাবাদকে মেনে নিতে পারলে সেখানে জলের দরে জমি পেয়ে যেতে পারেন আপনিও।
জানা গেছে, ১৯২৯ সালে লন্ডন ছেড়ে চার্লস ম্যাকস্কি এবং তার স্ত্রী ডোরথি এ গ্রামে বসতি স্থাপন করেন।
এ অঞ্চলে জমি কিনে প্রথমে তাঁবু তৈরি করে বসবাস শুরু করেন দুজনে। এলাকাটির নাম দেন ‘স্পিলপ্লাজ’ বা খেলার জায়গা।
সপ্তাহান্তে ম্যাকস্কি আর ডোরথির পরিচিতরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। এভাবে ধীরে ধীরে ম্যাকস্কি আর ডোরথির অতিথিদের কেউ কেউ এখানে বসবাস শুরু করেন।
১২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এই গ্রামে বর্তমানে ৫৫টি বাড়ি রয়েছে।
গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে গ্রামবাসীর কাছে। এমন কী আধুনিক, ফ্যাশনেবল জামাকাপড়ও রয়েছে তাদের কাছে।
গ্রামের বাইরে গেলে জামাকাপড় পরেই যান তারা। তবে গ্রামে থাকার সময় নগ্নতাই তাদের পছন্দ।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৩ ফেব্রুয়ারি