ভোলায় ইজিবাইকে উঠতে না দেয়ায় ছাত্রীদের মারধর, প্রধান শিক্ষক পলাতক

ভোলার দৌলতখানে সোমবার দুপুরে দাখিল পরীক্ষার্থী ৩ ছাত্রীর পরিবহনকৃত ইজিবাইকে উঠতে না দেয়ায় ওই ছাত্রীদের মারধর করেছেন নলগোড়া শরীফবাড়ি মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান।
এ সময় ইজিবাইক চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে বিচার দাবি করে।
আহত শিক্ষার্থী ফারজানা বেগম, মনিরা বেগম ও ইজিবাইক চালক জামাল উদ্দিনকে ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে যান প্রধান শিক্ষক মিজান।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মৃধা মোজাহিদুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
ইজিবাইক চালক জামাল উদ্দিন জানান, তিনি তার ইজিবাইকে করে নিজের মেয়ে ও ক্লাসমেটসহ ৩ পরীক্ষার্থীকে নিয়ে দৌলতখান আবু আবদুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। পথে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান তার ইজিবাইকে যেতে চাইলে তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে ওই প্রধান শিক্ষক পথ আগলে তাদের ওপর হামলা চালায়। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন লিটন জানান, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে সালিশ বিচার হয়েছিল। এসব কারণেই ছাত্রীদের যানবাহনে মিজানুর রহমানকে কেউ তুলতে চায় না।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, তিনি এসএসসি পরীক্ষার হলসুপারের দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রে যাওয়ার জন্যই তিনি দ্রুত ওই ইজিবাইকে উঠতে চেষ্টা করেন। কিন্তু হামলাসহ অন্য অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১২ ফেব্রুয়ারি