বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির ঘটনায় দুই দিনেও ফেরত পাওয়া যায়নি ট্রলারসহ ৪ জেল
বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে ট্রলারসহ অপহৃত চার জেলেকে গত দুই দিনেও ফেরত দেয়নি অপহরণকারী দস্যু বাহিনী। বৃ্হস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার মৎস্য ঘাটে ফিরে এসে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলেরা।
অপহৃতরা হলেন খোকন মাঝি, মো: নাসির উদ্দিন, মো: সালাহ উদ্দিন ও আ: রহমান।
অপহৃত ও ফিরে আসা জেলেদের বাড়ি কক্সবাজার ও নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায়। তবে জলদস্যু বাহিনীর নাম জানাতে পারেননি ফিরে আসা জেলেরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্সবাজারসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে পাথরঘাটা উপজেলার নিজলাঠিমারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো: ছগির হোসেনের মালিকানা এফবি সিরাজুল হক নামের একটি ট্রলারসহ ১৭ জন জেলেকে অপহরণ করে জলদস্যু বাহিনী। পরে বঙ্গোপসাগরের মহেষখালী এলাকায় অপর একটি ট্রলারে ১৩ জেলেকে ফেরত দিয়ে ট্রলারসহ চার জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে নিয়ে যায়।
ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে এফবি সিরাজুল হক ট্রলারের মালিক মো: ছগির হোসেন পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে সন্ধ্যার দিকে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলে আগ্নেয়াস্ত্রধারী ২০-২৫ জনের জলদস্যু বাহিনী অস্ত্রের মুখে ট্রলারসহ ১৭ জেলেকে আটক করে। এ সময় জেলেরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে পাইপগান দিয়ে মারধর করা হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর মহেষখালী এলাকায় অপর একটি ট্রলারে ১৩ জেলেকে আহতাবস্থায় ফেরত দিলেও বাকি চারজনকে ট্রলারসহ অপহরণ করে। এখন পর্যন্ত ওই সব জেলের মুক্তিপণের জন্য দস্যু বাহিনী যোগাযোগ করেনি, এমনকি তাদেরকে ফেরতও দেয়নি। ফিরে আসা জেলেদের মধ্যে মিজানুর রহমান, মো: রুবেল, মো: লোকমান, দুলাল, সাহাব উদ্দিন, মো: শফিক, গিয়াস উদ্দিন, মো: বেল্লাল হোসেন, জাহের, শাহজাহানের নাম পাওয়া গেছে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, ফেরত ১৩ জেলে কক্সবাজার ঘাটে ফিরে আসার পর তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং কয়েকজনকে র্যাব-৭ এর ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৭ এর কোম্পানির কমান্ডার মেজর মেহেদি বলেন, ফিরে আসা জেলেদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। অপহৃত ট্রলার ও চার জেলেকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।