ভোলায় মিথ্যা অভিযোগে শিক্ষা সফরের গাড়িতে হামলা, চোখ হারাতে বসেছে কলেজছাত্রী
মিথ্যা অভিযোগে ভোলায় শিক্ষা সফরের গাড়িতে হামলার ঘটনায় চোখ হারাতে বসেছে ভোলা সরকারি কলেজের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস মিশু। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ক্লাস বর্জন করে রাস্তায় নেমে এসেছে শত শত শিক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গত মঙ্গলবার ভোলার দক্ষিণ আইচায় বাসযোগে শিক্ষা সফরে যাচ্ছিলেন তারা। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামাল মেম্বারের নির্দেশে তার ভাইসহ ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা হামলা চালায় বাসটিতে।
বাঁশ ও লাঠি দিয়ে ভাঙচুর করে তারা। ইটপাটকেল করে হতাহত করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয়, বাসটিকে আটকে রেখে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা মোবাইল ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুটপাট করে। পরে বাসটিকে উদ্ধার করে দক্ষিণ আইচা থানার পুলিশ। তবে হামলাকারীদের কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
অতর্কিত ওই হামলায় বাসের জানালার গ্লাস ভেঙে জান্নাতুল ফেরদৌস মিশুর বাম চোখ ঢুকে মারাত্মক জখম হয় সে। পরে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, গুরুতর জখম হয়েছে মিশুর বাম চোখে। মিশুর চোখের প্রদীপ জ্বলবে কি-না তা এখনো নিশ্চিত নন তারা। বড় ধরনের অপারেশন করা লাগবে। প্রচুর অর্থেরও প্রয়োজন রয়েছে তাতে।
এ বিষয় দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মাসুম তালুকদারকে ফোন করে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি বলে কাউকে আটক করেননি তিনি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
কেন অকারণে বাসটিতে হামলা করা হয়েছে জানতে চাইলে মাসুম তালুকদার বলেন, জামাল মেম্বারের চার বছরের ছেলেকে একটি প্রাইভেটকার চাপা দিয়ে মেরে ফেলে সেদিন। এ’ সময় ওই রাস্তা দিয়ে ভোলা কলেজের শিক্ষা সফরের বাসটি যাওয়ার সময় স্থানীয় ওই হামলা চালায়।
এদিকে, বুধবার শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকী এবং পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে।(তথ্য সূত্রঃ যুগান্তর)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৪ জানুয়ারি