পাথরঘাটায় তিন শিশু,কে এক সাথে অপহরণ করে পালিয়েছে অপহরনকারী
পাথরঘাটায় তিন শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে পরে
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধাওয়া খেয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে ।
রিপন নামে এক অপহণকারী। অপহরন থেকে রক্ষা পাওয়া শিক্ষার্থীরা হল ৩নং চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড দক্ষিণ
জ্ঞানপাড়া গ্রামের ১৪নং জ্ঞানপাড়া আমড়াতলা। সঃ প্ৰাঃ
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী মো. মুছা মিয়ার মেয়ে মোসাঃ
মারিয়াএকই শ্রেণির যো. বেলায়েত হোসেন এর মেয়ে
মোসাঃ জান্নাতী ও কাওছারের মেয়ে লাফিয়া আক্তার।
অপহরণকারী রিপন একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড উত্তার
চরদুয়ানী গ্রামের ছিদ্দিক মিস্ত্রীর ছেলে।
অপহৃত শিক্ষার্থীদের পরিবার ও উল্লেখিত বিদ্যালয় সূত্রে
জানা গেছে প্ৰতি দিনের মত ১৬ জানুয়ারি ৩০মিনিটের
১টা
সময় দুপুরের নাস্তা খাবারে জন্য বিদ্যালয় পাঠদানের বিরতী দিলে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা নাস্তা খেতে বাড়ীতে চলে যায়। ।
ওই সময় উল্লেখিত তিন শিশু শিক্ষার্থীও নাস্তা খাওয়ার জন্য
বাড়ীতে যাওয়ার পথে বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা রিপন শিশু শিক্ষার্থীদের বাড়ীতে আগাইয়া দেওয়ার
কথা বলে বাজাজ নামক একটি সাইকেলে প্লাটিনা মটর
তুলে এলাকা থেকে চলে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি শিশু চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে পড়ে। পরে শিশুটির ডাক পরে শিশুটির ডাক চিৎকার এবং অভিভাবকরা বিষয়টি তাতক্ষণিক থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ওপেতে থাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
একপর্যায় কয়েক ঘন্টা পরে অপহণকারী শিক্ষার্থীদের
বিদ্যালয়ের কাছা-কাছি একটি রাস্তায় ফেলে চলে যায়।
এব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হানিফ শিকদার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন । ঘটনার দিন মো. রফিকুলসহ একাধিক অভিভাবক ফোন করে অপহৃণনের ঘটনা জানলে তাতক্ষণিক উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাই। একপর্যায় অপহণকারী শিশু
শিক্ষার্থীদের রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এঘনায় এখন পর্যন্ত
অপহণকারীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নীতবে
গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এব্যাপারে উক্ত ১৪নং জ্ঞানপাড়া আমড়াতলা সঃ প্ৰাঃ
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পরেশ চন্দ্র
ঢালীবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতল চন্দ্র
গোমস্তা অভিভাবক রফিকুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেন উল্লেখিত ঘটনায় রিপন বর্তমানে পলাতক থাকলেও রিপনের বড় ভাই যো. খোকন বিষয়টি মীমাংসা জন্য তাদের
কাছে এসেছে। পরেশ চন্দ্র ঢালী জানান ঘটনার পরের দিন
১৭জানুয়ারি রিপনের বড় ভাই খোকন তাদের কাছে এসে
রিপন উল্লেখিত শিশু শিক্ষার্থীদেরকে অপহণ করেছিল
স্বীকার করে রিপনের যথা-যথ বিচারের আশ্বাস দিয়ে মামলা না কারর জন্য জোর অনুরোধ জানান। এব্যাপারে রিপন আত্মগোপনে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নী।