ফেসবুক হ্যাকেড! অসম্ভব… দেখুন বিস্তারিত
ফেসবুক হ্যাকেড এই শব্দের সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। এটির ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা জানলেও উপলব্ধি করতে পারি না বা গুরুত্ব দেই না অথবা সচেতন হই না। ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যও আদান প্রদান করতে থাকেন।
আমাদের অনেকের এমন মতামত আছে যে, আমার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকেড হলে আর কি বা হবে! আমি তো আর বড় মাপের কেউ না। আচ্ছা ধরা যাক, আপনার একাউন্ট টি হ্যাকেড হলো তখন কি হতে পারে চিন্তা করেছেন কখনো ?
যদি আপনার ফেসবুক আইডি থেকে আপনার পরিচিত জনকে কুরুচি পূরর্ণ বার্তা পাঠায় তখন কেমন লাগবে আপনার কাছে ? নিশ্চই ভালো লাগার কথা নয়। আবার, আপনার আপন জনকে বলতে পারে যে আমার কিছু টাকা লাগবে (আপনার আপন জন কিন্তু জানে না যে আপনার আইডি হ্যাকেড) তখন তিনি টাকা টা পাঠিয়ে দিল তখন আপনি কি করবেন? আমারা সাধারণ ভাবে প্রিয় জনকে বেশি SMS করি ফেসবুকে এর মধ্যে, অনেকের অনেক ব্যক্তিগত তথ্যও থাকে। তাহলে, সে আপনাকে ব্লেক মেইল করতেই পারে। আরও অনেক কিছুই হতে পারে যা আপনি/আমি চিন্তাও করতে পারি না। সাইবার জগতে কোনো কিছুই শতভাগ নিরাপদ না। তাই বলে আমাদের বসে থাকা যাবে না। আমারা যত টুকু পারি নিজেকে এবং অন্যকে নিরাপদ রাখার ও থাকার চেষ্টা করতে পারি। আমাদের ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কয়েকটি সিকিউরিটি এর অপশন রেখেছে। যার মধ্যে মানুষের হাতে কিছু কাজ আছে। আমরা সবটুকু সাইবার এর ওপর ভরসা করতে পারি না। তাই মানুষের কাছে কিছু সিকিউরিটি এর অপশন রাখা হয়েছে।
যেমন ঃ Two-factor authentication, Choose 3 or 5 friend contact, Safe browsing
১/ (Two-factor authentication) আশা করি অনেকেই জানি এই বিষয়ে। এইটা হল যখন আপনি নতুন কোনো ব্রাউজারে ফেসবুক ওপেন করতে যাবেন তখন আপনার (৩ টা অপশন আছে ১. মোবাইল এপ এ নোটিফিকেশন যাবে। ২. আপনার ভেরিফাইড ফোন নাম্বারে মেসেজ যাবে। ৩. আপনি যখন two-factor authentication ওপেন করবেন তখন ফেসবুক আপনাকে ৬ টি কোড দিবে) এর যেকোনো একটা হলে আপনি ওপেন করতে পারবেন, না হয় আপনার আইডি ওই ব্রাউজারে ওপেন হবে না।
২/ (Choose 3 or 5 friend contact) এইখানে আপনার কাছের বন্দু কে এড করতে পারেন (৩ জন না হয় ৫ জন) যখন আপনার আইডি হ্যাকেড হবে আপনি তাদেরকে একসাথে করে আপনার আইডি ফেরত পাবেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল কেউ একা চাইলে আপনার আইডি নিতে পারবে না। আর আপনি কাকে কাকে এড দিয়েছেন সেইটা আপনি ছাড়া আর কেউ জানে না।
৩/ (Safe browsing) ওপনে রাখলে কেউ কোনে নতুন ব্রাউজারে ওপেন করতে চাইলে আপনার কাছে নোটিফিকেশন চলে আসবে।
আর হে কেউ নিজের নাম, আপনার বেস্টফ্রন্ডের নাম, আপনার জন্ম তারিখ, নিজ শহরের নাম, আপনার প্রিয় ব্যাক্তির নাম, মানে(common password) যাকে বলে এসব পাসওয়ার্ড দিবেন না ফেসবুকে। আশাকরি সবাই যদি এই সব অন রাখেন তাহলে আপানার আইডি অনেকটাই সেইফ থাকবে (আমি আগেই বলেছি সাইবার জগতে কোনো কিছু শতভাগ নিরাপদ না) ।