আসছে ভোট বর্জনের ঘোষণা!
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রার্থীর জন্য ‘সমান সুযোগ’ চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে (ইসি) বৈঠক বসেছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। তবে বৈঠক শেষ না হতেই সেই সভা বর্জন করে ড. কামাল হোসেন-ফখরুলরা।
সেখানে সিইসির সঙ্গে ড. কামালের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে নির্বাচন বর্জনের হুঁমকি দেন তারা।পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সভার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন- সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে ‘জানোয়ার লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী’কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
আপনার এই ‘লাঠিয়াল’ পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের লোকজন নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডা বাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদের তো রক্ষা করতে হবে।’
এসময় সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ড. কামাল হোসেনকে বলে ওঠেন, ‘আপনি এমন কী হয়েছেন- যে পুলিশকে ‘লাঠিয়াল, জানোয়ার’ বলছেন। নিজেকে কী মনে করেন?’
তখন মঈন খান সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে বলে দেন, আমরা আজকেই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের বিষয়ে ঘোষণা দেবো।’ এরপরই সভা থেকে বেরিয়ে যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ওই বৈঠক থেকেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোট বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। জোটের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।(তথ্য সূত্রঃ দ্যা বাংলাদেশ টুডে)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৫ ডিসেম্বর