ভাবীর সাথে পরকীয়া : প্রাণ গেল গৃহবধূর

এ এস এম জসিম
এ এস এম জসিম, বার্তা সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৬:৩৯ পিএম, ৬ মার্চ ২০১৮

ফাইল ছবিঅনলাইন ডেস্কঃ
বরিশালের উজিরপুর পৌর এলাকায় রিমা বেগম (২০) নামে এক নারী তার স্বামীর পরকীয়া আর যৌতুকের বলি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পিতা।

রোববার (৪ মার্চ) রাত ১টার দিকে পৌর এলাকার দক্ষিন মাদার্শী গ্রামে নিহতর স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনার ঘটলে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে নিহতর স্বামী শিপন হাওলাদার, শ্বশুর ইসমাইল হাওলাদার ও শাশুড়ি সুফিয়া বেগমকে গ্রেফতার করে।

নিহত রিমা পাশ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের বাসুদেবপাড়া গ্রামের আক্কেল আলী সরদারের মেয়ে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার মধ্যরাতে শিপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একটি কল আসাকে কেন্দ্র করে তাদের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তুমুল বাগবিতন্ডা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই শিপন তার স্ত্রী রিমা বেগমকে মুমূর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে (রিমা) মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ সময় মৃত্যু নিয়ে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।

নিহতের বাবা আক্কেল আলী সরদার জানান, মাত্র দেড় বছর পূর্বে উজিরপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ মাদার্শী গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে শিপন হাওলাদারের সঙ্গে সামাজিকভাবে রিমাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পরপরই শিপন তার আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। একইসাথে তার মেয়ে রিমাকে দিয়ে তাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকও দাবী করে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ হতো। এরই জের ধরে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন রোববার রাতে রিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে নিহত রিমার স্বামী শিপন হাওলাদার (৩৫) ও তার ছোট ভাই ইউনুস হাওলাদার (৩০), বাবা ইসমাইল হাওলাদার (৫৮), মা সুফিয়া বেগমের (৫০) নাম উল্লেখ করে উজিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুরি আটক করা হয়েছে।

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৬ মার্চ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)