ঢালিউডে বাড়ছে বেকারত্ব
অনুষ্ঠান কিংবা শোতে পারফর্ম করে সময় কাটান।
ঢাকাই চলচ্চিত্রে একমাত্র নায়ক শাকিব খানেরই একের পর এক ছবির শুটিংয়ের খবর জানা যায়। বাকি সব নায়ক-নায়িকার হাতে ছবির সংখ্যা খুব নগণ্য।
পরিচিত কিংবা প্রতিষ্ঠিত নায়িকাদের মধ্যে বিদ্যা সিনহা মিম দীর্ঘদিন বেকার থাকার পর কিছুদিন আগে ‘সাপলুডু’ নামে একটি ছবির শুটিং করেছেন।
বছর শেষে ‘থাই কারি’ নামে কলকাতার একটি ছবিতে অভিনয়েরও খবর দিয়েছেন তিনি। আরেক আলোচিত নায়িকা বুবলীও অনেকটা বেকার এখন। শাকিব খানের সঙ্গে ‘একটা প্রেম দরকার’ নামে একটি ছবির শুটিং শুরু করে মাঝপথে থেমে আছে।
এক সময়ের ব্যস্ত নায়িকা অপু বিশ্বাসের অবস্থাও তথৈবচ। ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ একটি ছবির শুটিং শেষ করে এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেই সময় কাটাচ্ছেন এ নায়িকা।
নুসরাত ফারিয়াও দীর্ঘদিন বড় পর্দায় অনুপস্থিত ছিলেন। কিছুদিন আগে ‘শাহেনশাহ’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করছেন শাকিব খানের বিপরীতে। এ ছাড়া আর কোনো ছবির খবর দিতে পারেননি তিনি।
দীর্ঘদিন পর ‘জ্যাম’ নামে একটি ছবি দিয়ে ঢালিউডে প্রত্যাবর্তন ঘটলেও কতদিন টিকে থাকতে পারবেন সেটা নিয়ে সন্দিহান চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। এ নায়িকার হাতে ‘গাঙচিল’ নামেও একটি ছবি আছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও ঠিক হয়নি কবে এ ছবির শুটিং শুরু হবে। আর শাবনূর তো একেবারেই কর্মহীন।
মাঝে মধ্যে দু-একটি স্টেজ শোতে দেখা গেলেও সিনেমার পর্দায় অনুপস্থিত। পরীমনি এখনও ‘স্বপ্নজাল’ই আটকে আছেন। ‘ক্ষত’ নামে একটি ছবির প্রযোজক হলেও এর ভবিষ্যৎ কেউ জানে না। জানা গেছে, সিনেমার বেকারত্ব কাটাতে ইদানীং কয়েকটি ওয়েব সিরিজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন এ নায়িকা। চিত্রনায়িকা পপিও ওয়েব সিরিজে ব্যস্ত আছেন।
তবে সিনেমায় কিছু কাজ করে নিজেকে এ মাধ্যমেও ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন। এক সময়ের অগ্নিকন্যা মাহিয়া মাহিকে এ মুহূর্তে কর্মহীনই বলা চলে। অবশ্য তার অভিনীত কয়েকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ববিও নেই কোনো আলোচনায়।
একমাত্র জয়া আহসান দুই বাংলা মিলিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন। সিনিয়র কিংবা পুরনো নায়িকাদের অবস্থা যখন এরকম, তখন নতুন নায়িকাদের অবস্থা কেমন হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়।
নায়কদের মধ্যে একমাত্র শাকিব খান ছাড়া কারও হাতে সংখ্যাধিক ছবি নেই। আরিফিন শুভর ‘জ্যাম’ নামে একটি ছবির শুটিং শুরু করার কথা রয়েছে। সিনেমায় কর্মহীন সিনিয়র নায়ক ফেরদৌস ও রিয়াজ এখন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।
বাপ্পি চৌধুরীর কাছে কয়েকটি ছবির কাজ থাকলেও সাইমনের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। জায়েদ খানের অবস্থাও তথৈবচ। নিরব, ইমনও ‘করে খাচ্ছেন’ টাইপে চলছেন। এক সময় ছবির ভিলেন মানেই মিশা সওদাগরের নাম ছিল। তারও এখন কাজের সংখ্যা ক্রমশ কমে গেছে।
বছর শেষ হতে আর দেড় সপ্তাহ বাকি। কর্মহীন তকমা এঁটেই এ বছর পার করতে হচ্ছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকাদের। অথচ এক সময় বছরের হিসাব নয়, প্রতিদিন ব্যস্ত থাকতে হতো ঢাকাই চলচ্চিত্রের সব নায়ক-নায়িকা ও কলাকুশলীদের। ভবিষ্যৎই বলে দেবে এ কর্মহীনতা কতদিন থাকবে?
নাকি অন্য পেশায় মনোনিবেশ করবেন চলচ্চিত্রের তারকারা? যদিও বেশ কয়েকজন তারকা যুগান্তরকে বলেছেন, ‘কাজ কমে যাচ্ছে তাই হয়তো আমাদের অন্য পেশা খুঁজতে হবে।’ কর্মহীনতার এ দুঃসময় কাটবে কিনা? এ প্রশ্ন এখন সময়ের দাবি!(সূত্রঃ যুগান্তর)
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২১ ডিসেম্বর