আদালতে মামলা পাথরঘাটায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে যখম
পাথরঘাটায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে বেধম ভাবে পিটিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়েছে যৌতুক লোভী স্বামী। এঘটনায় স্বামীর আলাউদ্দিন খোকনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বরগুনা নারী ও শিশু আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভুগী স্ত্রী তামান্না বেগম। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনায় বেসরকারী নারী উন্নয়ন সংগঠন “জাগরনি”র সদস্য এসআই জান্নাতুল ফেরদৌসকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের মেয়ে তামান্নার পাশ্ববর্তী রায়হানপুর ইউনিয়নের জামিরতলা গ্রামের মৃত্যু আবু সায়েদ আকনের ছেলে আলাউদ্দিন খোকনের সাথে ২০১৬ সালের ৯ মে রেজিষ্ট্রীকৃত কাবিন মূলে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে খোকন যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী তামান্নাকে বেধম মার-ধর করত। তারই দ্বারাবাহিকতায় গত ১৯ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর ৩লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে খোকন, তার বোন ও মায়ের সহযোগীতায় স্ত্রী তামান্নাকে বেধম পিটিয়ে গুরতর আহত করে। এসময়ে তামান্নার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তামান্নাকে উদ্ধারকরে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তামান্না কিছুটা সুস্থ্য হয়ে স্বামীর ঘরে যেতে চাইলে স্বামী খোকন স্ত্রীকে যৌতুকছাড়া ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায় তামান্না কোন উপয় না পেয়ে বাবার বাড়ীতে গিয়ে স্বামী খোকন, ননদ ও শ্বাশুরীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বরগুনা নারী ও শিশু আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে মামলার বাদী তামান্না বেগম পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, খোকন আমাকে বিয়ে করার আগে আরো একটি বিয়ে করেছিল সেই স্ত্রীকে যৌতুকের দাবীতে মার-ধর করত বলে সেই স্ত্রীও খোকনের নামে আদালতে মামলা করেছিল। আমাকে বিয়ের পর যৌতুকের জন্য প্রায়ই আমাকে মার-ধর করত। এক পর্যায় আমার স্বামী আমাকে যৌতুকের দাবীতে বেধম ভাবে পিটিয়ে গুরতর আহত করে এবং আমাকে বলে যৌতুক ছাড়া আমাকে ঘরে তুলবে না। আমি কোন উপয় না পেয়ে বাবার বাড়ীতে গিয়ে বাধ্য হয়ে মামলা করেছি, আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এব্যাপারে আলাউদ্দিন খোকনের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে রিসীভ না-করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নী।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জান্নাতুল ফেরদৌস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত মামলাটির তদন্ত শেষ হয়নী। তবে যতটুকো তদন্ত হয়েছে তাতে মেয়েটিকে তার স্বামী খোকন শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১০ ডিসেম্বর