বামনায় হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনাসভা
বামনায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে একটি র্যালী উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বামনা উপজেলা নির্ব্হী কর্মকর্তা শিউলী হরির সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তোফায়েল আহম্মেদ, নুরুল ইসলাম, সুবেদার আ. মোতালেব, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বিআরডিবি সভাপতি সালমা হক, সাংবাদিক মনোতোষ হাওলাদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের মধ্যে নবম সেক্টরের সাব-সেক্টর হেটকোয়ার্টার্স বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়ায় তৎকালীন ক্যাপ্টেন মেহেদী আলী ইমাম ও উপ-অধিনায়ক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের এই দিনে বামনায় সংগঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতায় এখানে অবস্থানরত পাক বাহিনীদের পরাজিত করে।
২৩ নভেম্বর ১৯৭১ সকাল ৯টায় বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন থেকে পূর্ব দিকে মুক্তিযোদ্ধারা প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পায়। তখন মুক্তিযোদ্ধারা বামনা আমুয়ার খালের রাস্তার পশ্চিম ঢালে ও স্থানীয় আমজাদ খানের বাড়ির পেছনের বাগানে অবস্থান নেয়।
এদিকে বিষখালী নদীতীরবর্তী বদনীখালী বাজার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ও লুটপাট করে পাকিস্তানি সৈন্য বহনকারী লঞ্চ এমভি ‘আল আকরাম’ বামনা বন্দরের দিকে আসতে শুরু করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা নদীর তীরে অবস্থান নিয়ে ফায়ার শুরু করে। পাকসেনারাও পাল্টা গুলি চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পিছু হটে চলে যায় পাকসেনারা।
পরদিন ২৪ নভেম্বর ভোররাতে মুক্তিকামী যোদ্ধারা পাকিস্তানিদের হাত থেকে বামনাকে মুক্ত করার জন্য থানা ভবনে আক্রমণ করে। থানার অভ্যান্তরে থেকে পুলিশ ও রাজাকার বাহিনী প্রচণ্ড প্রতিরোধের চেষ্টা চালায়, কিন্তু অদম্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পারেনি তারা।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৪ নভেম্বর