আনোয়ার খানেরা দেশের মানচিত্র খামচে ধরবে, যেভাবে ছিঁড়ে খুবলে রক্তাক্ত করে নারীকে!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৮

ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে নেয়াসিলেটের মেয়ে সাবিহা। পড়াশোনায় তেমন একটা ভালো না। বাবার ইচ্ছায় ভর্তি হয় আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ নামের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। এরপর?

এরপর, একদিন দুপুরে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আনোয়ার খান সাবিহাকে ডেকে নিয়ে যায় তার রুমে। সেদিন সাবিহাকে একা পেয়ে আনোয়ার খানের যৌন ক্ষুধা জেগে ওঠে। একা–অসহায় একটা মেয়েকে পেয়ে সে ক্ষুধা মেটানোর চেষ্টা করে আনোয়ার খান।

সাবিহা সেদিন কোনোমতে নিজেকে রক্ষা করে। তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ওইদিনই মরে যায়। আসলে তার সেই স্বপ্ন সেদিন মরেনি। খুন হয়েছিল। এরপর কেটে যায় বহু দিন, বহু বছর। সাবিহা এখন বরফের দেশ কানাডায়। এক সন্তানের মা। বুকের ভেতর খচখচানিটা রয়ে গেছে আজও।

সারা বিশ্বে #মিটুর যে ঝড় বইছে তার সুবাতাস লেগেছে আমাদের দেশেও। সাবিহা সাহস পায়। বুকের ওপর চেপে রাখা পাথর সরানোর পথ খুঁজে পায়। তার সাথে ঘটে যাওয়া সেদিনের ঘটনা অল্প–বিস্তর বর্ণনা করে উইম্যান চেপ্টার নামক ব্লগে। না, সাবিহা কারো কাছে বিচার চায়নি। শুধু একটা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে আমাদের— আনোয়ার খানের মতো লোকেরা যদি সাংসদ হয়, আইন প্রণেতা হয়, তাহলে এ দেশের ভবিষ্যত কী?

সাবিহার এই প্রশ্নের উত্তর সময়ের হাতে তোলা রইল।

এখন একটা গল্প বলি। এক নেতার গল্প। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এক নেতার গল্প। তাহলে শুনুন

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ আ. লীগে হঠাৎই আনোয়ার খানের আর্বিভাব। বছর দুই–তিনেকের মাথায় উপজেলা আ.লীগের পদধারী (সিনিয়র সহসভাপতি) নেতাও হয়ে যায়। দেদারসে টাকা–পয়সা বিলিয়ে বেড়াচ্ছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছে! হ্যাঁ সেই আনোয়ার খানই। যার হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছিল সাবিহাকে, সেই আনোয়ার খান। আর সে কিনা দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত, বঙ্গবন্ধুর দল আ. লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছে? সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

এখানে একটু খটকা আছে অবশ্য। লোকটা যে আরও একটি দল থেকে নমিনেশন ফরম কিনে রেখেছে! উপজেলা আ. লীগের পদধারী এক নেতা যিনি কি না অন্য আরেক দল থেকেও প্রার্থী হতে চান! আ. লীগের এত খারাপ অবস্থা! আ. লীগের কোনো নেতা অন্য কোনো দল থেকে নমিনেশন নিলে আ. লীগে তার পদ থাকে?

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলটির সাংগঠনিক কাঠামোতে এ বিষয়ে কি বলা আছে জানা নেই। তবে এমন একটি দলের নেতার নীতি বলে কিছু থাকবে না? দলীয় কিংবা রাজনৈতিক আদর্শ বলে কিছু থাকবে না? চরিত্র থাকবে না? তাহলে কিসের ঐতিহ্যবাহী দল?

আসলে আনোয়ার খানের মতো মানুষের কোনো দল নেই। এদের চাই ক্ষমতা। নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, আনোয়ার খানের মতো লোক ক্ষমতা পেলে দেশের মানচিত্রটাকে খামচে ধরবে। যেভাবে এই পাষণ্ড সাবিহাকে খামচে ধরেছিল, ঠিক সেভাবে।(সূত্রঃ এগিয়ে চলো)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২২ নভেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)