সাত মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ
চলতি ২০১৭-১৮ করবর্ষের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রফতানি শুল্ক মিলে মোট রাজস্ব আয় করেছে এক লাখ ৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার, যা বিগত করবর্ষের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।
গত করবর্ষের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৯৫ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, খাতভিত্তিক রাজস্ব আয়ের হিসাব হলো-সাত মাসে আমদানি ও রফতানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৩৫ হাজার ২৭৮ কোটি, স্থানীয় পর্যায়ে মূসক থেকে ৪১ হাজার ৫৪০ কোটি এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। তবে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে।সাত মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ২৫ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। তবে করসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানোর যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে,তাতে বছরশেষে মোট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে নতুন করদাতা সংগ্রহের সাথে সাথে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাওয়ার যে ইতিবাচক ধারা তৈরি হয়েছে-তার প্রতিফলন চলতি করবর্ষের সাত মাসে আমরা দেখতে পেয়েছি।
এনবিআরের তথ্যমতে, গত ২০১৬-১৭ করবর্ষের প্রথম সাত মাসে শুল্ক থেকে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৯৮ কোটি টাকা-চলতি করবর্ষের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৭৮ কোটি। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ২১ শতাংশ।
আলোচ্য সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত করবর্ষের সাত মাসে ২৯ হাজার ১২৬ কোটি টাকার আয়কর রাজস্ব আয় এবার বেড়ে হয়েছে ৩২ হাজার ৭৫৫ কোটি। শুল্ক ও আয়করের মত ভ্যাট রাজস্ব আয়েও উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।গত করবর্ষের সাত মাসে ভ্যাট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৬ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।