পাথরঘাটায় জেলেদের চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ
ইলিশ প্রজনন মওসুমে সংরক্ষনের সময় জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে বরগুনার পাথরঘাটার এক ইউপি চেয়াম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেক জেলেকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ কেজি করে।
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন মো. সহিদ খাদ্যগুদামের সামনে এ চাল বিতরন করেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলা কালমেঘা ইনিয়নে প্রতি জেলেকে ২০কেজি করে দেয়া কথা শুনছে জেলেরা। চাল নেয়ার পরে তারা মিটারে মেপে দেখেন প্রতি জন জেলে ১২ থেকে ১৫ কেজি করে চাল পেয়েছে। এনিয়ে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হলে সবাই জেনে যায়।
সেলিম, জামাল, জাহাঙ্গীর হোসেন, কালামসহ একাধিক জেলে জানান, আমরা জানি ২০ কেজি করে চাল দেয়া কথা। চেয়ারম্যান মেম্বররা বালতি দিয়ে মেপে আমাদের কম চাল দিয়েছে। তারা আরো জানান, আমাদের মধ্যে প্রকৃত জেলেরা এ চাল পাচ্ছেন না। যে সকল লোকজন কখনও নদীতে মাছ শিকার করে নাই তারাও আজ চাল নিয়ে যাচ্ছে।
পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষার্থে এ বছরের ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই এ ২২ দিন বেকার হয়ে যাওয়া জেলেদের আর্থিক অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়াহয়েছে। এ সময় প্রতি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
কালমেঘা ইউনিয়র পরিষদের চেয়াম্যান আকন মো. সহিদ চাল কম দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, জেলেদের চাল ঠিক মতই দেয়া হয়েছে। তবে শেষ দিকে চাল কম থাকায় জেলেদের চাল কম দেয়া হতে পারে।
এব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হুমায়ূন কবির বলেন, আমি এর আগে সার্বক্ষনিক ঘটনাস্থলে থেকেই পর্যাবেক্ষন করেছি। চলে কম দেয়ার বিষয়টি আমার চোখে পরেনি।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৭ অক্টোবর