পাথরঘাটায় শিশু ধর্ষণের মূল্য ৪৫ হাজার টাকা!
বরগুনার পাথরঘাটায় চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে আব্দুস ছালেককে (৫২) জুতা পিটাসহ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনার পর রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে রায় ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন মিলন রায় কার্যকর করেন।
শালিস বৈঠকের উপস্থিত থাকা একাধিক ব্যক্তি পাথরঘাটা নিউজকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন।
স্থানীয় ফারুক, শাহজাহান ও সোহরাবসহ আরো অনেকে এর বিচার চেয়ে পাথরঘাটা নিউজকে জানান, উপজেলার কাটাখালী গ্রামের চার বছরের মেয়েকে একই গ্রামের আব্দুস ছালেক শুক্রবার সকালের দিকে পার্শবর্তী বাগানে নিয়ে যায় খাবারের লোভ দেখিয়ে। সেখানে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে। পরে রক্তক্ষরণ হলে এবং ব্যাথায় কান্নাকাটি করে মা-বাবাকে বিষয়টি বলে। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন মিলন, বাচ্চু পহলান ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কযার্যালয়ের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে শালিস বৈঠকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ২৫টি জুতা পেটা রায় দেয়া হয়। পরে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয় এবং জুতা পেটা করা হয়।
এ বিষয় মেয়ে বাবা আব্দুল হালিম পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আভিযুক্ত ছালেক আমার মেয়ের দাদা হয়। আমাদের সাথে কিছু জামেলা হয়েছে। পরে শুক্রবার রাতে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কাকচিড়া ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন মিলন ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারনে এ সমস্যাটি হয়েছে। তবে শালিস মিমাংসার মাধ্যমে সমাধান করে দেয়া হয়েছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহমেদ পাথরঘাটা নিউজকে বলেন, আমি এরকম একটি ঘটনার কথা শুনেছি। ধর্ষণের মত কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই লোক মেয়েটিকে বাগানে নিয়ে গেছে। থানায় কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৮ সেপ্টেম্বর