পাথরঘাটায় হতভাগা মায়ের জমি ছেলের দখলে!
পাথরঘাটা উপজেলায় মায়া বেগম নামে এক হতভাগা মায়ের জমি সবুর দালাল নামে এক সৎ ছেলের দখলে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছেলের দখল থেকে জমি ফিরে পেতে এলাকার মাতুব্বরদের ধারে-ধারে অভিযোগ ও আকুতি করে আসছেন অসহায় হতভাগা মা।
জানা গেছে, উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা আব্দুর রব মোসাঃ মায়া বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মায়া বেগমের ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহন করেন এবং প্রথম স্ত্রীর ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে জন্ম গ্রহন করেন। মায়া বেগম দ্বিতীয় স্ত্রী হলেও ছেলে মেযে নিয়ে ভালই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ মায়া বেগমের স্বামী মারা যাওয়ায় ছোট-ছোট ৬টি সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পরেন মায়া বেগম।
এদিকে সৎ ছেলে-মেয়েরা এলাকার কতিপয় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় জোর খাটিয়ে মায়া বেগমকে তার স্বামীর সম্পত্তী থেকে বঞ্চিত করে নিজেরা বাগবাটোয়ার করে নেয়। যার ফলে চরম অশান্তী নেমে আসে মায়া বেগমের সংসারে। এর মধ্যে মায়া বেগমের বেচে থাকার একমাত্র সম্ভল তার কবলাকৃত ১২শতাংশ জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে সৎ ছেলে সবুর দালাল। স্বামীর কোটি টাকার সম্পত্তী থাকলেও সম্পত্তী থেকে বঞ্চিত এবং নিজের কবলাকৃত জমি সৎ ছেলের দখলে থাকায় চরম কষ্টের জীবন এখন মায়া বেগমের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মায়া বেগমের কবলাকৃত ১২শতাংশ জমির ওপর সৎ ছেলে সবুর দালাল মায়ের দোয়া ট্রেডার্স নামে ওয়ার্কসপ প্রতিষ্ঠাননির্মাণসহ বসত ঘর তুলেছেন।
এব্যাপারে সবুর দালাল বলেন, আমি আমার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমি দখল করেছি। আমার সৎ মায়ের জমি আমি দখল করি নী।
এব্যাপারে মায়া বেগম বলেন, আমার ছেলে-মেয়েরা ছোট থাকার কারনে আমার স্বামীর কয়েক কোটির টাকার সম্পত্তী সবুর দালাল, সেতারা মোশারেফসহ আমার স্বামীর প্রথম সংসারের ছেলে-মেয়েরা দখল করে আমাকে ও আমার ছেলে-মেয়েকে সম্পত্তী থেকে বঞ্চিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার কবলাকৃত ১২শতাংশ জমি যার মূল্য অনুঃ ত্রিশ লাখ টাকা আমার সৎ ছেলে সবুর দালাল দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত ঘর নির্মাণ করছেন।
তিনি বলেন আমি আমার জমি ফেরত পাওয়ার জন্য ৩বছর পূর্বে স্থানীয় এমপির কাছে লিখিত অভিযোগ করলে এমপি,রায়হাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপককে বিষয়টি সমাধান করার জন্য লিখে দেন। চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক আমার সৎ ছেলে সবুর দালালকে অনেকবার নোটিশ করার পরেও সবুর না আসায় শালিস করা সম্ভব হয়নী।
মায়া বেগম বলেন, আমি ৪ থেকে ৫ বছর পূর্ব থেকে এরকম অনেকবার স্থানীয় এমপি ও স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ পাথরঘাটা থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাই নী।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবুর দালালের দখলকৃত জমি তার সৎ মা-মায়া বেগমের কবলাকৃত।
তিনি বলেন, উল্লেখিত জমি সবুর দালাল পিতার ওযারিশ সূত্রে পাওয়া দাবী করলেও প্রকৃতপক্ষে সবুর দালালের পিতার যতটুকো জমি ছিল তার চেয়ে বেশী সে বিক্রি করেছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৮ সেপ্টেম্বর