ভাণ্ডারিয়া পৌর নির্বাচন ঝুলে আছে মামলায়

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভাণ্ডারিয়া পৌর নির্বাচন ঝুলে আছে মামলায়পৌরসভা গঠন করার তিন বছর অতিবাহিত হলেও আজও ভাণ্ডারিয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। সে থেকে প্রশাসক দিয়ে চলছে পৌরসভার কার্যক্রম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। পৌরসভা গঠনের পরপর সীমানা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়ায় আদালতে একাধিক মামলা করা হয়। সে থেকে বন্ধ হয়ে যায় নির্বাচন প্রক্রিয়া। এ কারণে শুধু পৌরসভা নয় উপজেলার নদমুলা-শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনও বন্ধ রয়েছে। কবে নির্বাচন হবে এবং কবে নির্বাচিত মেয়র পাবেন পৌরবাসী তা জানেন না কেউ। বিলুপ্ত হওয়া ভাণ্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পৌরসভার কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। বিলুপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের নিয়ে বর্ধিত আকারে পৌর সহায়ক কমিটি গঠন করে গ্রেজেট প্রকাশ করা হয়। তৎকালীন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বর্তমান পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার মঞ্জু এমপির প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভণ্ডারিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করে সদর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড ও পার্শ্ববর্তী নদমুলা-শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কিছু অংশ নিয়ে পৌরসভার গ্রেজেট প্রকাশ করে। সীমানা পুনঃবিন্যাস করায় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। ভোটার তালিকা নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পৌরসভা গঠনকালে তার ওয়ার্ড এলাকা সীমানা বর্ধিত করা হয়। এতে তার ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় দেড়গুণ হয়ে গেছে।

অপরদিকে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল নদমূলা-শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল তালুকদার সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে উচ্চ আদালতে আরও একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই মামলাটি খারিজ হয়ে গেলে তিনি ২০১৮ সালে ১১ জুলাই উচ্চ আদালতে আরও একটি মামলা করেন বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়।

এদিকে মামলা থাকার কারণে নদমূলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মেয়াদের পরও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মামলার বাদী নদমূলা শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল তালুকদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল কানুয়া ও গাজীপুর এলাকাকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত করার এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ রয়েছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পৌরসভার নির্বাচন না হওয়ায় এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী। বেশিরভাগ পৌর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক শাহীন আক্তার সুমি বলেন, পৌরসভা নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলেই পৌরসভার নির্বাচন সম্ভব।(সূত্রঃ যুগান্তর)

পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৮ সেপ্টেম্বর

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)