‘ভালো গল্পের নাটকে তৃপ্তি খুঁজে পাই’ - নওশীন
নওশীন নাহরিন। মডেল ও অভিনেত্রী। দীপ্ত টিভিতে প্রচার হচ্ছে তার অভিনীত নাটক ‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’। নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-
‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’ নাটকে কেমন দর্শক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
নিউইয়র্ক প্রবাসী কয়েক বাংলাদেশি আর ঢাকায় পেছনে ফেলে যাওয়া তাদের প্রিয়জনের পথচলার গল্প নিয়ে নাটকটি নির্মিত হয়েছে। দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছে বলে আমি মনে করি। গল্পই ধারাবাহিকের প্রাণ। এখন পর্যন্ত যারা নাটকটি দেখেছেন, উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে টিআরপির কথা কখনোই ভাবি না। নাটকটি দর্শকের ভালো লেগেছে, এটাই নাটকের অভিনয়শিল্পী হিসেবে পরম পাওয়া।
নাটকটির প্রযোজনায় আপনি যুক্ত। অভিনয় ও প্রযোজনা দুটো কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়েননি?
আমি কখনোই প্রযোজক নওশীনের পরিচয়টা বড় করে দেখি না। তবে এটা ঠিক, নাটকের পেছনে থেকে দীপ্ত টিভিকে সহায়তা করছি। প্রযোজনা ও অভিনয় দুটোই আমার কাছে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। যখন যে কাজটা সামনে আসে, সেটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই করার চেষ্টা করি। তবে দুটো কাজকে কখনোই আলাদা করে দেখিনি। কারণ দিন শেষে সবসময় ভালো কাজ করতে চাই, সেটি যে মাধ্যমে হোক না কেন।
ইদানীং নাটকে কম দেখা যাচ্ছে, এর কারণ কী?
শুধু গল্প পছন্দ না হওয়ার কারণে অনেক নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব ‘না’ করতে হয়েছে। অল্প কাজ করব; কিন্তু সেটা ভালো গল্পের নাটক হতে হবে। ভালো গল্পের নাটকে অভিনয়ে তৃপ্তি খুঁজে পাই। গৎবাঁধা কাজ করতে চাই না। যে জন্য সংখ্যার বিচারে কাজ কম হচ্ছে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কাজের সংখ্যা নিয়ে কখনোই ভাবিনি।
ছবিতে অভিনয় নিয়ে কিছু ভাবছেন?
অভিনয়, উপস্থাপনা সমানতালে করছি। সঙ্গে নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। থার্ডবেল নিয়েও ব্যস্ততা কম নয়। আপাতত ছবিতে অভিনয় নিয়ে ভাবছি না।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে উপস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত। উপস্থাপনায় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হয়?
আসলে সোন্দর্য দিয়ে উপস্থাপনা হয় না। সবকিছু নির্ভর করে কথা বলার ধরন এবং কীভাবে উপস্থাপন করা হবে তার ওপর। নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা না করে সাবলীলভাবে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর আলোচিত বিষয়বস্তুর ওপর সম্মুখ ধারণা থাকাটাও জরুরি। মোটা দাগে বলতে পারি- সবকিছু সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৬ সেপ্টেম্বর