রাজাপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ঝালকাঠির রাজাপুরের চাড়াখালি গ্রামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এক বখাটে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে একটি ঘরের ভেতর আটকে রাখে।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করার পর ঝালকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলার চাড়াখালী গ্রামে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
তবে তিন দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি এবং এ ঘটনায় মামলাও রেকর্ড করেনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মেয়েটির বাবা ঢাকার একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। মা না থাকায় দাদা-দাদির সঙ্গেই বসবাস করে ছাত্রীটি। রোববার সকালে দূরসম্পর্কের এক চাচার সঙ্গে পাশের পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালায় যায়। সেখান থেকে দুপুরে বাড়ি ফিরছিল তারা। পশ্চিম চাড়াখালী এলাকায় এলে চাচার কাছ থেকে জোর করে ওই ছাত্রীকে ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় বখাটে হেলাল তালুকদার (২৮) ও তার সহযোগীরা। এ সময় চাচাকে ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে স্থানীয় শাহ আলম কাজীর একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে হেলাল। ধর্ষণের পর ছাত্রীকে পাশের মন্টু হাওলাদারের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। ওই ছাত্রীর দাদাকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে হেলালের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। টাকা না দিলে ছাত্রীকে আটকে রাখা হবে বলেও জানায় হেলাল। এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে রাজাপুর থানার পুলিশ গিয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে উদ্ধার করে দাদা-দাদির কাছে ফিরিয়ে দেয়। দাদা-দাদি সোমবার বিকেলে অসুস্থ ছাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন বিকেলে বলেন, ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই ছাত্রীর দাদা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তিনি অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৬ সেপ্টেম্বর