ছবির কারিগর ‘আরিফ রহমান’
আরিফ রহমান। ছোটবেলা থেকে শখেরবশে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা হাতে নেন।সেই শখ এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। ছবি তোলার পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতি পরম দরদ তাঁকে আকৃষ্ট করেছে ঘুরে বেড়াতে।
অজানাকে জানার জন্য তাই তিনি ঘুরে বেড়ান উপকূল থেকে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায়। ভ্রমন পিয়াসী এই ছবির কারিগর আরিফ রহমানের এখন নেশা নতুন নতুন সৌন্দর্যময় স্থানগুলো আবিস্কার করা এবং সেসব জায়গাকে পরিচিত করা।
আরিফ রহমান এরইমধ্যে কাজ করেছেন দেশের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় সংবাদপত্র প্রথম আলোতে। প্রথম আলোর বরিশাল অফিসেরিআলোকচিত্রী আরিফ এখন কাজ করছেন জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি স্টারে’। পেশাগত কারনেই আরিফ রহমানকে ঘুরে বেড়াতে হয় এ জেলা থেকে অন্য জেলায়। সমস্যা আর সম্ভানার নানা বিষয় উঠে আসে তার নিঁপূণ হাতের ছোয়ায়।
কখনও ব্যস্ত নগরের জীবনধারা, নাগরিক যন্ত্রণা, কখনও নিভৃত গ্রামের মানুষের জীবনধারা আবার নিসর্গ-প্রকৃতির সুন্দরতম দিকগুলো তাঁর ছবিতে ফুটে ওঠে জীবন্ত হয়ে। আবার প্রান্তের বঞ্চিত জীবনের সুখ -দুঃখ , হাসি কান্নার অনুলিপি চিত্রিত হয়ে তাঁর ছবিতে।
ছবি তোলার পাশাপাশি অন্য একটি নেশা এখন খুব করে পেয়ে বসেছে তাঁকে। ব্যস্ততার মাঝেও আরিফ রহমানের দৃষ্টি পড়ে থাকে পেয়ারার গ্রামে। ভাসমান বাজারে। কখনও বা শালুক-শাপলার বিস্তির্ণ স্বপ্ন রাজ্যে। মন তার পড়ে থাকে কখনও সৈকতের বালিয়াড়িতে,লাগোয়া সবুজ বনে। সামান্য ফুসরত পেলেই আরিফ রহমান বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণে। তিনি বিশ্বাস করেন, ভ্রমন বাড়ায় জ্ঞানের পরিসর, বাড়ায় আত্মবিশ্বাস। কর্মব্যস্ত দৈনন্দিন জীবনের ক্লান্তি কাটাতেও ভ্রমনের রয়েছে বিশেষ গুন।
পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আরিফ রহমান। সময় পেলেই ছুটে যান তিনি দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে। সারাদেশের তরুণ প্রজন্মকে স্বল্প খরচে আরামদায়ক ভ্রমণের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেন তিনি ।
ভ্রমন পাগল আরিফ রহমানের সংগ্রহে রয়েছে লাইট টেন্টস, হ্যাভোক, মোবাইল বার্ণারসহ দরকারী সব ভ্রমন সামগ্রী। সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা, বরগুনার হরিণঘাটা, লালদিয়ার চর এবং সুন্দরবন সংলগ্ন দুবলারচরসহ সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন স্পটে স্বল্প খরচে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে যে কেউ পরামর্শ নিতে পারেন ভ্রমন পিয়াসী আরিফ রহমানের।
বরগুনার আমতলার পার এলাকার হাইস্কুল সড়কের মরহুম মো. মোখলেসুর রহমানের দুই ছেলে আর পাঁচ মেয়ের মধ্যে আরিফ রহমান পঞ্চম। চাকরির সুবাদে বাস করেন বরিশালে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৫ সেপ্টেম্বর