মঠবাড়িয়ায় জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
অনলাইন ডেস্কঃ
মঠবাড়িয়া উপজেলার ১২৯ নম্বর কাকড়াবুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে এ ভবনটি। প্রতিদিন এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। বিশেষ করে এই ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও পলেস্তার খসে পড়ার কারণে যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া পলেস্তার খসে বিমের রড বেরিয়ে যাওয়ায় স্কুলটির অবস্থা এখন নাজুক।ঝুঁকিপূর্ণ এ স্কুলটিতে বর্তমানে ১২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার ১২৯ নম্বর কাকড়াবুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে বিদ্যালয়টি পাকা ভবনে উন্নীত হয়। তিনটি অপরিসর শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিসকক্ষের এ স্কুল ভবনটি নির্মাণের চার বছরের মাথায় জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করে। পুরো ভবনটির দেয়ালজুড়ে মারাত্মক ফাটল দেখা গেছে।
বর্তমানে ছাদ ও বিমের পলেস্তার খসে রড বেরিয়ে গেছে। বিকল্প ভবন না থাকায় নিরুপায় হয়ে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে রেখে নিয়মিত পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
অপরদিকে অনেকদিনের পুরনো বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল নড়বড়ে অবস্থা। আসবাবপত্রের চরম সঙ্কট। শিশুদের জন্য বিশুদ্ধ পানিরও কোনো ব্যবস্থা নেই। সুপেয় পানির জন্য কোন টিউবওয়েল কিংবা পুকুর না থাকায় পার্শ্ববর্তী খালের পানি শিশুরা পান করে। টয়লেট থাকলেও তা জরাজীর্ণ অবস্থায় ব্যবহার অনুপযোগী। বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে ছাদের পলেস্তার খসে বিভিন্ন সময় অন্তত দশজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুচিত্রা রাণী বলেন, বিকল্প শ্রেণিকক্ষ না থাকায় মৃত্যুভয় নিয়েই পাঠদান করতে হচ্ছে। নতুন স্কুল ভবন অত্যন্ত জরুরি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, এই মুহূর্তেই জরাজীর্ণ স্কুল ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা উচিত। না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বিকল্প শ্রেণিকক্ষ না থাকায় আমরা শিশুদের অন্যত্র পাঠদানও করাতে পারছি না।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. ইউনুস আলী হাওলাদার বলেন, নতুন স্কুল ভবন নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। কয়েকদফা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৪ মার্চ