বরিশালে সাবরেজিস্ট্রারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
মৃত ব্যক্তিকে জীবিত সাজিয়ে দলিল তৈরি করার অভিযোগে সাব রেজিস্ট্রার ও ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে।
বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার মোশতাক আহমেদ রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন মামলাটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার (এএম) মামুন শরীফ, চকবাজার এলাকার মৌসুমী এন্টারপ্রাইজের মালিক ওসমান হারুনী, আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মুসা আরিফ ও সাবরেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা সবাই প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ। মোশতাক আহমেদের বাবা শামসুল হকের জীবদ্দশায় ১৯৮৫ সালের ১ আগস্ট জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করছেন। মোশতাকের বড় ভাই সিরাজুল হকের সঙ্গে অভিযুক্ত ওসমান হারুনীর ভালো সম্পর্ক থাকায় তার প্রয়োজনে বাবার জমি আমমোক্তার দলিলের মাধ্যমে ২০১২ সালের ৫ জুলাই ওই জমি ব্র্যাক ব্যাংকে বন্ধক রেখে ১৫ লাখ টাকা লোন তুলে দেন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল লোন পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ থাকলেও আমমোক্তার দলিল দাতা তার বাবা ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট মারা যান। তার বাবা আমমোক্তার দলিল দস্তাবেজ ফিরিয়ে আনতে পারেননি। নিয়ম অনুসারে লোন পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে আমমোক্তার দলিল বাতিল হয়ে যায়। অভিযুক্তরা দলিল দস্তাবেজ ফিরিয়ে না দিয়ে ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল মৃত শামসুল হককে জীবিত দেখিয়ে অন্য লোক দাঁড় করিয়ে পরস্পর যোগসাজশে জাল স্বাক্ষর দিয়ে পুনরায় আমমোক্তার দলিল তৈরি করেন। ওই দলিল দিয়ে পুনরায় ২২ লাখ টাকা লোন মঞ্জুর করা। লোন শোধ না করার অজুহাত দেখিয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্র“য়ারি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের জমি ২৫ লাখ টাকায় ওসমানের ভাই মুসা আরিফের নামে সাব কবলা দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। মুসা আরিফ গত ৮ মে ওই জমি দখল করতে গেলে বাদী তাদের দুর্নীতির বিষয় জানতে পারেন। এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/২৫ সেপ্টেম্বর