আমতলীতে বৃদ্ধা শ্বাশুড়ীকে মারধর করলেন পুত্রবধূ!
আমতলী উপজেলায় ছেলে কালাম মাদবরের পক্ষে কথা বলায় ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা জামিনা বেগমকে বেধড়ক মারধর করলেন অপর ছেলে হারুন মাদবরের স্ত্রী পুত্রবধূ জয়নব বেগম। আহত শ্বাশুড়ীকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খেকুয়ানী গ্রামের রশিদ মাদবরের স্ত্রী জামিনা বেগম। ২০০০ সালে স্বামী রশিদ মাদবর মারা যায়। এরপরে আট সন্তানের জননী জামিনা বেগমের ঠাঁই হয় জামাতা শাহ আলমের বাড়ীতে। গত ১৮ বছর ধরে জামাতার গৃহেই সে বসবাস করে আসছে। এদিকে দুই ভাই কালাম মাদবর ও হারুন মাদবর ২০ বছর পূর্বে ৪৫ শতাংশ জমিতে একটি বাড়ী নির্মাণ করে। কালাম মাদবর নোয়াখালী থাকায় ওই বাড়ীতে হারুন মাদবর একাই বসবাস করছে। বরিবার সকালে কালাম মাদবর ওই বাড়ীর তার অংশের একটি রেইন্ট্রি গাছ কাটতে যায়। এতে বাঁধা দেয় হারুন মাদবর ও তার স্ত্রী জয়নব বেগম। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় মা জামিনা বেগম দু’ভাইকে ঝগড়া বিবাদে জড়াতে নিষেধ করে ছেলে কালাম মাদবরের পক্ষে কথা বলে। এতে হারুন মাদবরের স্ত্রী জয়নব বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধা শ্বাশুড়ী জামিলাকে বেধরক মারধর শুরু করে। শ্বাশুড়ীকে রক্ষায় জামাতা শাহ আলম ও মেয়ে আমেনা বেগম এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারধর করেছে। আহত শ্বাশুড়ীকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। অপর দুই আহত শাহ আলম ও আমেনা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে শ্বাশুড়ী জামিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘মোর পোয়ায় মোরে খাওয়ায় না। খাওন পরন চাইতে গ্যালে মোরো বউ (জয়নব) খামার দেয়। গত বচ্ছর খাওন চাইতে গ্যাছেলাম, হেইতে বউ মোরে মারছে।’ তিনি আরও বলেন, দুই ভাই বাজাবাজি হরে, হেইয়্যা ছাড়াইতে গেছি হেইতে বউ মোরে কিল ঘুষি লাথি মারছে। মুই এইয়্যার বিচার চাই।’
পুত্রবধূ জয়নব বেগম শ্বাশুড়ীকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বাড়ীর গাছ আমার ভাসুর কালাম মাদবর কাটতে গেলে আমি বাঁধা দিয়েছি। ওই সময় একটু কথাকাটাকাটি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজড়া বলেন, বৃদ্ধা জামিলা বেগমের সারা শরীরে ব্যথা ও বাম হাত ফোলা রয়েছে।
আমতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১৬ সেপ্টেম্বর