পাথরঘাটায় সিডরে ভেঙে যাওয়া বাঁধ ১২ বছরেও নির্মাণ হয়নি
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের জ্বিনতলা গ্রামে ঘূর্ণিঝড় সিডরে ভেঙে যাওয়া বিষখালী নদীর তীরে অবস্থিত দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি ১২ বছরেও। এতে জোয়ারের পানিতে ওই এলাকার ৮ হাজার মানুষ বন্দি হয়ে পড়ে। লোনা পানি ঢুকে পুকুরের মাছ ও ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করলেও সংশ্লিষ্টরা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে দাবি এলাকাবাসীর। পাথরঘাটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান জানান, জি¦নতলা বাঁধের জন্য ইতিপূর্বে কার্পেট ও মালামাল নেওয়া শুরু হয়েছে। চলতি শুকনা মৌসুমে কাজ করা হবে। তবে স্থানীয়রা বলেন, ইতিপূর্বে একাধিকবার কার্পেটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে আসা হলেও তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ঠিকাদারদের লোকজন।
পাথরঘাটা উপজেলার সর্ব দক্ষিণে ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর তীরের জ্বিনতলা গ্রামের জেলে পল্লীতে গিয়ে সরেজমিন দেখা যায় ২০০৭ সালে সিডরের আঘাতে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধটি পুনর্নির্মাণ না করায় জি¦নতলা সøুইস গেট, জি¦নতলা বাজারসহ ১৩ থেকে ১৫টি বসতঘর নদীতে চলে গেছে। বাঁধঘেঁষা জ্বিনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটিও রয়েছে ঝুঁকিতে। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা না হলে স্কুলটিও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় শাহিন খান, জাকির খান, মিনারা বেগমসহ অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একযুগ পার হয়ে গেলেও পাউবো কোনো কাজ করেনি। বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিলেও কাজ না করে এলাকাবাসীকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলে ঠিকাদাররা পালিয়ে যায়। প্রায় ৫০ বছর আগে নির্মিত এই বেড়িবাঁধের পুনর্নির্মাণ করে ১০ গ্রামের মানুষকে রক্ষার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে পাউবোর বিভাগীয় প্রকৌশলী (অ.দা.) আব্দুল হান্নান জানান, বর্তমানে নদীতে পানির চাপ বেশি। কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সরঞ্জাম নেওয়া হচ্ছে, শুকনা মৌসুমে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা করেন।