গোলাম রাব্বানী লাখো ছাত্রলীগের প্রাণ
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন। জন্মলগ্ন থেকে দাবি আদায়ের লড়াই সংগ্রামে ছাত্রলীগের ভূমিকা উপমহাদেশে শীর্ষে।
সেই ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি কর্মীর চাওয়া-পাওয়া কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক কে ঘিরে থাকে।সবাই মনে প্রাণে চায় একজন নেতা আসুক যে কর্মী বান্ধব এবং মুজিবাদর্শের সবটুকু লালন-পালন করে। বরাবরের মতো বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কমিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আসে।কখনো সেখানে থাকে সিন্ডিকেটের কিছুটা প্রভাব।যার ফলে হয়তো ঝরে যায় অনেক সুবাসিত ফুল।কিন্তু এবারের কমিটিতে নেত্রী যে ফুল সংগ্রহ করেছেন; তা আসলেই সুবাসিত এবং যেকোন কমিটির থেকে ভিন্ন। সেই কমিটির সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সেরাদের সেরা বলা যায়।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পুর্বেই গোলাম রাব্বানীকে অনেকেই মানবতার ফেরিওয়ালা নামে আখ্যায়িত করেছিলো।সামাজিক বিভিন্ন কাজে তার অবদান চোখে পড়ার মতো।বিগত রোহিঙ্গা সমস্যার সময় তিনি ত্রাণ ও বিতরণ করেছেন নিজের টাকায়।বিভিন্ন সময় অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কখনো আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ জুগিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও সমালোচনা তার পিছু ছাড়ে নি। তিনি ছিলেন অদম্য। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ভার তার উপর অর্পিত হলো, পেলেন সাধারণ সম্পাদক।
যার স্বপ্ন ছিলো নিজের ছেলেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে দেখবেন,যিনি সাহস যোগাতেন গোলাম রাব্বানি কে; সেই মানুষটি সব মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন পরপারে। ঠিক সেই মুহুর্তে শুরু হল নিরাপদ সড়ক আন্দোলন। একদিকে মায়ের শোক অন্যদিকে জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র,তিনি শোক কে শক্তিতে পরিণত করে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি আদায়ে ভুমিকা রাখলেন।সাথে সাথে গুজব রোটানো আর চক্রান্তকারী ছাত্রদলের ছেলে মেয়েদের রুখে দিলেন দক্ষতার সাথে। গোলাম রব্বানী এখানেই সফল হয়ে গিয়েছেন।কিন্তু তিনি মানুষ হিসেবে,ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েও এখনো সাধারণ।কোন রাগ নেই, ক্ষোভ নেই, নেই বিরক্তি,ছুটে চলেছেন শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হয়ে অবিরাম।
গোলাম রব্বানী কর্মী বান্ধব নেতা,সকাল ৮ বেরিয়ে পড়েন,সারাদিন প্রোগ্রাম না হয় ব্যস্ত সময় পার করেন।তার মধ্যে প্রত্যেক কর্মীর সাথে তার যোগাযোগ নিবিড়।রাত ২.৫০ কখনো বা ৩ টা পর্যন্ত কর্মীদের আবদার মেটান। হয়তো আমি আর আপনি হলে অনেক বিরক্ত হয়ে যেতাম।কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান বীর কখনো বিরক্ত হোন না,তারা কখনো দমে যান না। মনে প্রাণে গোলাম রাব্বানীর সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।বাংলাদেশের প্রত্যেক প্রান্তে একজন করে গোলাম রাব্বানী জন্মাক। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক: শেখ জোবায়ের হোসেন, সহ সম্পাদক, জাহাঙ্গীরনগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। উপ আইন সম্পাদক, খুলনা জেলা ছাত্রলীগ।