পাথরঘাটায় জনরোষে বামনার ইউএনও
বরগুনার পাথরঘাটায় ফেরিঘাটে বাস যাত্রী ও রোগীদের স্বজনদের সাথে (র্দূব্যাবহার) খারাপ ব্যাবহার করায় বামনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জেবুন নাহার জনরোশে পরেছেন। পরে সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে তার গাড়িটি ফেরী পার করে দেয়। গতকাল রোববার বেলা দেড়টার সময় বরগুনার বড়ইতলা ফেরিঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
ফেরি সার্ভিস কর্তিপক্ষ নিজাম, রুবেল, আনিচুর রহমানসহ বাস যাত্রিরা জানান, বামনা উপজেলার নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার বরগুনায় জেলা প্রসাশকের কার্যলয় মিটিংএ যোগ দিতে প্রাই আসাযাওয়া করেন। এতে করে বাইনচুটকি থেকে বড়ইতলা যেতে বিষখালী নদীতে ফেরি পার হতে হয়। ফেরিটি যানবাহন পারাপাড়ে নিদ্রিস্ট সময় রয়েছে। ইউএনও এই ফেরিটি পারাপাড়ে নিদ্রিষ্ট সমায়ের ৩০ মিনিট থেকে ৪০ মিনিট প্রাই দেরী করে ফেরিতে আসেন। এজন্য ফেরী কতৃপক্ষ তার জন্য অপেক্ষা করে। এতে করে পরিবহনে আসা যাত্রী ও এম্বুলেন্সে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তীর সৃষ্টি হয়। মাঝে মধ্যে ফেরীর লোকজনদের সাথে যাত্রীদের মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।
গতকাল বরগুনায় অফিসের মিটিং সেরে ১টার সময় পারাপাড়ের ফেরিতে ইউএনও আগের মতো ৩৫ মিনিট দেরী করে আসেন। এসময় যাত্রীরা ইউএনও জেবুন নাহারের কাছে অনুরোধ করেন। পরবর্তিতে যেন এভাবে নিদ্রিষ্ট সময়ের ফেরি চলাচলে বিঘ্ন না ঘটিয়ে জনগনকে ভোগান্তিতে ফেলে। বিষয়টি ইউএনও অপমান বোধ মনে করে জনগন কোন শালায়রে এই বলে যাত্রীদের ওপর ভ্রম্যমান আদালত বসানো জন্য চেষ্টা চালায়। এসময় সাথে থাকা ভ্রম্যমান আদালতের রিসিট বই হাতে নিয়ে গাড়ী থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ফেরির মধ্যে শত শত যাত্রীরা ইউএনও’র গাড়িটিকে ঘেরাও করে রাখে। পরে উপস্থিত সাংবাদিকরা পরিস্থিতি নিয়ান্ত্রনে এনে তাকে ঘটনা স্থল থেকে বামনা পঠিয়ে দেন।
খেয়া ঘাট ও ফেরির ইজারাদার আনিচুর রহমান জানান, বরগুনা জেলার সকল কর্মকর্তাদের গাড়ি আমরা সব সময় স্পেশাল ফেরিতে পারাপার করি। এতে করে আমাদেরকে কোন বাড়তি টাকা দিতে হয় না। তারপরও এই বামনার ইউএনও সব সময় ফেরিতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দেরী করে আসে এতে করে যাত্রী এবং রোগীদের ভেগান্তির সাীমা থাকে না। এটা তার সময়ের প্রতি অবহেলা।
এ ব্যাপারে বামনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার জানান, আমরাও জনগনের কাজ করি একটু দেরী হলে এতে কিছু আসে যায় না।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/১০ সেপ্টেম্বর