ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করলেন সেই কুরান
এজবাস্টন টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ৬৩ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করেছিলেন স্যাম কুরান। দলকে জিতিয়ে তিনি হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।
তবুও কুরান ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে বাদ পড়েছিলেন বেন স্টোকসকে জায়গা করে দিতে। ইংল্যান্ডকে উদ্ধার করলেন সেই কুরান।
কাল সাউদাম্পটন টেস্টেও ইংল্যান্ড যখন ৮৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা, আরো একবার দলের উদ্ধারকর্তা হয়ে দেখালেন কুরান।
মঈন আলীর সঙ্গে ৮১ ও স্টুয়ার্ট ব্রডের সঙ্গে ৬৩ রানের দুটি জুটি গড়ে মুমূর্ষু ইংল্যান্ডকে জোগালেন অক্সিজেন। কুরানের ৭৮ রানে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করেছে ২৪৬।
জবাবে বৃহস্পতিবার প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৯ রান।
সিরিজের চতুর্থ এই টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে প্রথমবারের মতো পরপর দুই টেস্টে একই একাদশ নিয়ে খেলতে নামা ভারতের বোলিংয়ের শুরুটা হয় দুর্দান্ত।
তৃতীয় ওভারেই জাসপ্রিত বুমরাহ ফিরিয়ে দেন কিটন জেনিংস। ডানহাতি পেসারের ইন-সুইঙ্গারে এলবিডব্লিউ জেনিংস মেরেছেন ডাক।
বেশিক্ষণ টেকেননি অধিনায়ক রুটও।
ইশান্ত শর্মার ইন-সুইঙ্গারে এলবিডব্লিউ তিনিও। সঙ্গে একটা রিভিউও নষ্ট করেছেন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টো বুমরাহর বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। দুই অঙ্কে যেতে পারেননি এই দুজনও।
অন্য প্রান্তে অ্যালিস্টার কুক অবশ্য ভালোই খেলছিলেন। তিনটি চারও মেরেছিলেন। কিন্তু ১৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হয়ে যান কুক। তৃতীয় স্লিপে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে দারুণ ক্যাচ নেন কোহলি। ইংল্যান্ডের স্কোর তখন ৪ উইকেটে ৩৬!
পঞ্চম উইকেটে ৩৩ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিলেন জস বাটলার ও বেন স্টোকস।
বাটলারকে (২১) ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ শামি। বাটলারও ক্যাচ দিয়েছেন তৃতীয় স্লিপে। একটু পর সেই শামির শিকারে পরিণত হয়ে ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে ৮৬ রানে রেখে যান স্টোকস (২৩)।
এরপরই দলে ফেরা দুই ক্রিকেটার কুরান ও মঈনের ৮১ রানের সেই জুটি। কাউন্টিতে ডাবল সেঞ্চুরি করে দলে ফেরার যথার্থতা মঈন পূরণ করছিলেন ভালোই।
কিন্তু ৪০ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজ হয়ে ফেরেন মঈন। ইশান্তের বলে দ্রুতই ফেরেন আদিল রশিদ।
এরপর ব্রডকে সঙ্গে নিয়ে দলকে আড়াইশর কাছে নিয়ে যান কুরান। ৬ রানের মধ্যে ফেরেন দুজনই।
১৭ রান করা ব্রডের বিদায়ে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৮৮ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৭৮ রানের ইনিংসটি খেলেন কুরান।
শেষ বিকেলে জেমস অ্যান্ডারসন ও ব্রডের নতুন বলে চার ওভার অবশ্য নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেন দুই ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল। ধাওয়ান ৩ ও রাহুল ১১ রানে অপরাজিত আছেন
পাথরঘাটা নিউজ/এজেআর/ ৩১আগস্ট