আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, অফিস ভাঙচুর
অনলাইন ডেস্কঃ
মাদারীপুর সদর উপজেলার ২ নম্বর শকুনীর হাজির হাওলা গ্রামে ক্রিকেট খেলা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের হয়। এ ঘটনায় দুই নারী আহত হয়েছেন। আহতরা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার (২ মার্চ) রাতে ও আজ শনিবার সকালে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানের ছবিসহ এলাকায় কয়েকটি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার ২ নম্বর শকুনীর হাজির হাওলা এলাকায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আহম্মেদ ও জাকির গ্রুপের সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপ দেলোয়ার মুন্সী ও কালাম দারোগার সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে ইলিয়াস-জাকির গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দেলোয়ার মুন্সীর সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় ২ নম্বর শকুনীর হাজির হাওলা এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি শাখা অফিসে হামলা চালিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খানের ছবি ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও আতাউর মুন্সী ও আমিনুল সরদারের বসতঘর ভাঙচুর করা হয়।
আজ শনিবার সকালে পুনরায় ইলিয়াস-জাকির গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হাজির হাওলা এলাকার মিজু জমাদ্দার, মোশারফ জমাদ্দার, মুজিবর জমাদ্দার, বাচ্চু জমাদ্দার, আতিকুর জমাদ্দার, নূর জমাদ্দার, হালান দারোগা, জয়নাল দারোগা, মেহব্বত আলী দারোগার বসতঘরসহ ১০/১২টি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় বেশ কয়েক জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আহম্মেদ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। একটি পক্ষ আমাকে ব্যবহার করছে। তবে কোনো লোক আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়নি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করেনি।
মাদারীপুর মডেল থানা ভারপ্ররাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আওয়ামী লীগ অফিসসহ কিছু বাড়িঘর হামলা করা হয়েছে। কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত মামলা করতে আসেনি। মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩ মার্চ