বন্ধ বিমানবন্দর সড়ক
রাজধানীর উত্তরায় বেতন-ভাতা পরিশোধ ও মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে রাস্তার দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের বিক্ষোভ চলছে।
জানা গেছে, হাজার হাজার শ্রমিক উত্তরা জসিমউদ্দিন রোড থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত এবং জসিমউদ্দিন রোড থেকে বনানী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, ঈদের আগে ২০ আগস্ট বেতন-বোনাসের দাবিতে দক্ষিণখানের আটিপাড়া অবস্থিত টপ জিন্স ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। সেই সময় অন্যায়ভাবে ২৮ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন টপ জিনসের আয়রনম্যান মফিজুল। এ নিয়ে আজ সকালে তারা বিভিন্ন দাবিতে ফ্যাক্টরির সামনে জড়ো হলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় উত্তরা এবং এর আশপাশের আরও বিভিন্ন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, আহত শ্রমিক মফিজুলের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
বিজিএমইএ’র জয়েন্ট সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে আছি। শ্রমিকদের ফিরে যেতে বলেছি। এই ব্যাপারে বিকালে একটি সুরাহা করা হবে।’
তবে তার আশ্বাসে রাস্তা ছাড়তে চাচ্ছে না শ্রমিকরা। তারা বলছে সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কামরুজ্জামান সরদার বলেন, ‘শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করছে শ্রমিকরা। গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের হাতে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা শ্রমিকদের মুখে শুনছি। কিন্তু আদৌ সত্য কি না তা জানা নেই।’
ট্রাফিকের উত্তর বিভাগের ডিসি প্রবীর কুমার বলেন, ‘তিনটি গার্মেন্টসের কর্মীরা ঈদের আগে কোনো ধরনের বেতন বোনাস পায়নি। এ কারণে তারা ছুটিতে আসার পর মালিককে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাওনা না পেয়ে আজ সকালে আজমপুর পরে আব্দুল্লাহপুর এবং সর্বশেষ তারা বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবরোধের শুরুর দিকে ডাইভারসন করে কিছু গাড়ি ছাড়া হলেও এখন দুই দিকের রাস্তা বন্ধ। কোনো ধরনের যান চলাচল করছে না।’