কার্ড ছাপিয়ে বাল্যবিয়ে
ইন্দুরকানীকে বাল্যবিয়েমুক্ত উপজেলা ঘোষণার পরও থামছে না বাল্যবিয়ে। এমনকি প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে কার্ড ছাপিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠান করে দেয়া হচ্ছে বাল্যবিয়ে।
গত শুক্রবার উপজেলার উত্তর কলারণ গ্রামের আব্দুস জব্বার শেখের মেয়ে কারিমা আক্তারের সঙ্গে দক্ষিণ কলারণ গ্রামের হানিফ হাওলাদারের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। শুধু বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে ক্ষান্ত নয়। বিয়ের গেট, প্যান্ডেল করে জাঁকজমক করে সাজিয়ে রাখার পর বরযাত্রী এসে কনেকে নিয়ে যায়।
ওই কনে উত্তর-পশ্চিম কলারণ আজাহার আলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্র“য়ারি এ উপজেলাকে বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণা করা হয়। তবুও উপজেলার বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার ছাত্রীরা বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। প্রশাসন অভিভাবকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় বন্ধ হচ্ছে না বাল্যবিয়ে।
বালিপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল ইসলাম জানান, জন্ম সনদ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই না করে কোনো মেয়ের বিয়ে পড়াই না।
ইন্দুরকানী থানার ওসি নাসিরউদ্দিন জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা না করলে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
ইউএনও রাজিব আহমেদ জানান, বাল্যবিয়েমুক্ত ঘোষণার পরও এ উপজেলায় যারা বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাথরঘাটা নিউজ/এএসএমজে/৩০ আগস্ট